গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে ৯০ দিন সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে এই আসনের উপ-নির্বাচন আয়োজন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেলো ইসি। সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এই সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দৈব দুর্বিপাকে ওই সময়ের মধ্যে ভোট করতে না পারলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও ৯০ দিন সময় বাড়াতে পারেন। করোনা মহামারির সময় বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচন এভাবে সময় বাড়িয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের বিধান মতে সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণসহ সব নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান মতে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ওই শূন্যপদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই ৯০ দিনের মেয়াদ ২০ অক্টোবর শেষ হবে। কিন্তু গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সব আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ৮ দিনের মধ্যে পুনর্নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফা অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এখতিয়ারের প্রসঙ্গ টেনে গাইবান্ধা ভোট বন্ধের অবস্থাটি অনাকাঙ্খিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব দূর্বিপাক গণ্য করা হয়েছে।
এ অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা আগামী ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের শূন্যপদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ