বাংলা৭১নিউজ,(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় করোতায়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে করতোয়া নদীর পানি কাঁটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার এক (১) সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর খলসী এলাকায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। নদী তীরবর্তী এলাকার বহু বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বানভাসি মানুষ অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। অপরদিকে পানির প্রবল চাপে পলাশবাড়ী উপজেলার টেংরাদহ বাঁধের ৯০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চল চতুর্থ দফায় প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমন, আখ, কলা, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি