বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে থাইল্যান্ডবাসী। মঙ্গলবার দেশটি পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৭৯ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে। তবে কেবল গবেষণা ও ঔষধ বানানোর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
থাইল্যান্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণেতা কমিটির প্রধান সোমচাই সাওংকর্ণ বলেন, জাতীয় আইন পরিষদের পক্ষ থেকে এটি থাইল্যান্ড সরকার ও তার জনগণের জন্য নববর্ষের উপহার। তিনি বলেন, মাদক বিষয়ক সংশোধিত এ আইন বিভিন্ন ধরনের ঔষধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শারীরিক ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন করা একটি প্রচলিত রীতি ছিল। পরে ১৯৩৫ সালে গাঁজা সেবন, পরিবহন বা বাজারজাতকরণ বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তখন প্রণীত আইন অনুযায়ী, গাঁজা উৎপাদন বা পরিবহন দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হতো এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাভোগ বা ৪০ হাজার পাঁচশ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হতো।
তবে নতুন এ আইন প্রবর্তনের ফলে দেশটিতে গাঁজা উৎপাদন-বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে। গাঁজা ব্যবহারের এ অনুমতির ফলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো পেটেন্ট অধিকার নিয়ে দেশটির বাজারে প্রবেশ করবে। এর ফলে গাঁজা দিয়ে উৎপাদিত ওষুধের দাম সাধারণ রোগীদের নাগালে বাইরে চলে যেতে পারে বা গাঁজার দাম গবেষকদের নাগালে নাও থাকতে পারে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রজিন জুন্টং সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী বছর আইনটি বাস্তাবয়নের পর গাঁজা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করবে সরকার।
বাংলা৭১নিউজ/ খবর: ডয়েচে ভেলে/এ্সএইচ