বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করলো পূবালী ব্যাংক কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গা মুফতি-ওলামাদের সমাবেশ ভিডিও: কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ৪০ উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড দেখে নিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কোথায়? ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ, স্নাতক পাসেও আবেদনের সুযোগ

গহিন অরণ্যে দেখা মেলে হামহাম ঝরনার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

বন্ধুর পথ পেরিয়ে গহিন অরণ্যে দেখা মেলে হামহাম ঝরনার। প্রায় ১৬০ ফুট উঁচু পাহাড়ের ওপর থেকে অবিরাম পাথরের গায়ে পড়ছে হামহামের স্বচ্ছ পানির ধারা। নয়নাভিরাম এই দৃশ্য সহজেই দৃষ্টি কাড়ে পর্যটকদের। জলকন্যা হামহামের অবস্থান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুরমা সীমান্তের গহিন অরণ্যে।

রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকার এই ঝরনাকে চিতা ঝরনাও বলা হয়। কমলগঞ্জের একেবারে শেষ গ্রামের নাম কলাবনপাড়া, যেটি তৈলংবাড়ী নামেও পরিচিত। বলতে গেলে এরপর তেমন কোনো জনবসতি নেই। এখান থেকেই শুরু হয় হামহাম যাওয়ার মূল অভিযান। যাওয়ার জন্য বনের ভেতর দুটি পথ আছে।

বনের শুরুতেই হাতের ডান ও বাঁ দিকে পাশাপাশি পথ দুটির অবস্থান। একটি যাওয়ার এবং অন্যটি ফিরে আসার। ডানের পথ দিয়ে ঢুকে বাঁ দিক দিয়ে বের হওয়াই ভালো। কারণ ডানের পথটা দীর্ঘ এবং অনেক উঁচু টিলা পার হতে হয়।

হামহাম যেতে গাইড নেওয়াই ভালো। কারণ প্রথমবার গেলে রাস্তা ভুল করার আশঙ্কা থাকে। ছড়া ও টিলা মিলিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার ট্রেইল পাড়ি দিয়ে দেখা মেলে হামহামের। এর আগে দুই চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড় থেকে ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশার অপূর্ব দৃশ্য। মনে হবে, নয়নাভিরাম পাহাড় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। হাঁটতে হাঁটতে একসময় ঝরনাধারার শব্দ পাওয়া যায়। কাছে যাওয়ামাত্র প্রাণচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। প্রশান্তিতে মন ভরে যায়।

ঢালু ও পিচ্ছিল পাহাড়ি পথ বেয়ে ওপরে ওঠা কষ্টকর হলেও তুলনামূলক সহজ। কারণ নিচে নেমে আসা বিপজ্জনক। খুব সতর্কতার সঙ্গে নামতে হয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর ফেরা যাবে কলাবনপাড়ায়। ভ্রমণপিপাসু মানুষ কমলগঞ্জ অথবা শ্রীমঙ্গল শহর থেকে যানবাহন ভাড়া করে ভোর ৬টার মধ্যেই হামহামের উদ্দেশে রওনা শুরু করে।

স্থানীয়রা বলেন, এই ঝরনায় পর্যটকদের যাতায়াতে সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে মৌলভীবাজার জেলা তথা বৃহত্তর সিলেট বিভাগের অন্যতম পর্যটন এলাকায় রূপান্তরিত হবে হামহাম।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com