করোনা ধকল কাটিয়ে এই ঈদে আবার চাঙা হয়েছে সিনেমা অঙ্গন। দর্শকদের সিনেমা হলে ফেরানোর ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো। এরমধ্যে শাকিব খান অভিনীত ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
শাকিব অভিনীত ‘গলুই’ সিনেমাটির যখন জয়জয়কার, ঠিক তখনই আইন দেখিয়ে জামালপুরে জেলা প্রশাসন সিনেমাটির প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ দেয়। এমন নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শাকিব ভক্তরাও।
গলুই সিনোমর প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা বিকল্প ব্যবস্থায় যেখানে সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করলাম, সেখানে জেলা প্রশাসক এর প্রদর্শন বন্ধ করে দিলেন। তিনি বলেন, আমরা যেখানে সিনেমা হল নেই, সেখানে অডিটরিয়াম ভাড়া করে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনের ব্যবস্থা করি। অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে এই সুস্থ ধারার সিনেমাটি প্রদর্শন করার জন্য।
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, এমনিতেই আমাদের সিনেমার দর্শক কমে গেছে। আমরা সিনেমা হলের সঙ্কটময় মুহুর্তে যখন দর্শকদের হলমুখী করার উদ্যোগ নিয়েছি, তখন জামালপুরের জেলা প্রশাসক শত বছর আগের বৃটিশ আইনে গলুই সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দিলেন। অথচ আমরা শুনেছি, আইনে আছে জেলা প্রশাসক চাইলে যে কোন স্থানে ছবি প্রদর্শনের অনুমতি দিতে পারেন।
‘গলু্ই’ সিনেমার প্রযোজক আরও বলেন, আমরা জামালপুরের জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। সেখানকার সংসদ সদস্য মীর্জা আযমের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে নিষেধ করেননি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সুস্থ ধারার চলচিত্র বিকাশে যেখানে সরকারিভাবে অর্থ বিনিয়োগ করছেন, সেখানে হঠাৎ করে জামালপুরের জেলা প্রশাসকের এমন প্রতিবন্ধকতায় সিনেমা দর্শ্কদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সিনেমাটির বেশীরভাগ শুটিং হয়েছিল জামালপুরে। তবে এই জেলায় কোনো সিনেমা হল না থাকায় বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের চাহিদার কথা বিবেচনা করে শিল্পকলার অডিটরিয়ামে প্রদর্শন করা হচ্ছিল গলুই। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ব্যাপক সফলতাও পায় ছবিটি। দূরদূরান্ত থেকে গলুই দেখতে জামালপুর ছুটে যায় দর্শক। দেদারসে চলছিল ছবিটি, আর তখনই এলো প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশনা। কিন্ত জেলা প্রশাসক ১৯১৮ সালের ব্রিটিশ আইন দেখিয়ে প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন বলছেন, সরকারি জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে সিনেমা চালানো যায় না। কিন্তু এমন নিয়মে সিনেমার ক্ষতি হবে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাছাড়া ‘গলুই’ নির্মাণে সরকার অনুদান দিয়েছে।
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, দর্শকদের হলমুখী করছিল ‘গলুই’। মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির দর্শক দেখছিলেন। আমরা আশাবাদী হচ্ছিলাম। এমন সময় প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য দুঃসংবাদ।আমরা বিষয়টি নিয়ে তথ্য মন্ত্রী এবং তথ্য সচিবের সাথে কথা বলেছি। আশা করি, এর একটা সুন্দর সমাধান হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি