গরমে আরামদায়ক পোশাকের কোনো বিকল্প নেই। তার উপর করোনাকালে চলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত চলাচল বা লকডাউনে বাড়িতে থাকা। এই সময়টাতে ফ্যাশনে তাই ঢিলেঢালা পোশাকের আধিপত্য বেড়েছে। স্ট্রিট ওয়্যার আর ফরমাল আরামদায়ক পোশাকে অভ্যস্ত হয়েছে তরুণ প্রজন্ম।
গরমে হালকা রঙয়ের পোশাক ব্যবহার করাই ভালো। হালকা নীল, সাদা, গোলাপি, লেমন কালার, হালকা বেগুনি, আকাশি এসব রঙের পোশাকই গরমে আরামদায়ক। তবে অনেকেই উজ্জ্বলতার ছোঁয়া রাখতে চান পোশাকে।
সামারে টি-শার্ট সব বয়সীদেরই পছন্দ। আজকাল দারুণ সব নকশা আঁকা ও চমকলাগা রঙের টি-শার্ট পাওয়া যায়। কেউ কেউ ফতুয়া পরতে পছন্দ করেন এই গরমে। ছেলেমেয়েরা সবাই জিন্সের সাথে আরামদায়ক এ পোশাকটি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে, মেয়েরা ফতুয়ার সাথে ধুতি সেলোয়ার, পালাজো বা স্কার্টও পরে থাকে।
ফ্যাশন সচেতন অনেকেরই সুতি বা হালকা ফেব্রিকের কুর্তি পছন্দ। রঙ ও ডিজাইনে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকায় লম্বা কামিজ অথবা গোল হলেও আরামদায়ক হয় কুর্তি। আর ট্রেন্ডি হিসেবে জাম্প স্যুট বা লম্বা শার্টও বেছে নিচ্ছেন তরুণীরা।
কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত শাড়ি পরতে হয় অনেককে। গরমের এই সময়টাতে সুতির ছাপা শাড়ি, ব্লক, টাঙ্গাইলের শাড়ি, ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি, অ্যাপ্লিকের শাড়ি পরতে পারেন। এছাড়া পাতলা সাটিন অথবা জর্জেটের শাড়িও গরমের জন্য বেশ আরামদায়ক। ব্লাউজের ক্ষেত্রে পেছনের গলা বড়, থ্রি-কোয়ার্টার বা হাফ হাতা রাখতে পারেন।
এদিকে দেশীয় বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবারের সামারে নিরীক্ষাধর্মী টপ টু বটম, স্লিভ কিংবা কলার বা পোশাকের প্যাটার্নেও বৈচিত্র্য এনেছে। ফ্যাশন হাউজ জেন্টল পার্ক তাদের গ্রীষ্মের নতুন রেডি টু ওয়্যার পুরোটাই সাজিয়েছে তারুণ্য নির্ভর করে। শুধু আরামদায়ক কাপড় অথবা রঙের চমকই নয়, আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে যা চলছে সেটাই প্রাধান্য পেয়েছে তাদের কাপড়ের বুননে ও নকশায়। ওভেন ও নিট ফেব্রিকে তৈরি পোশাকের বেসিক ফিটিং এ আনা হয়েছে পরিবর্তন। সলিড, প্রিন্ট, স্ট্রাইপ ও ফ্লোরাল মোটিভ প্রাধান্য পাচ্ছে তারুণ্যনির্ভর এ পোশাকগুলোয়। আরো আছে গরমের উপযোগী প্লেইন ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট, নিটের জগিং ওয়্যার ও তরুণীদের নিরীক্ষাধর্মী টপস, কুর্তিসহ ফিউশন পোশাক।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে