হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনা। তারপরও বড় অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের বিকট শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আশ-পাশের বাড়িঘরের হাজার হাজার নারী-পুরুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তার আগে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা প্রাণপন চেষ্টার পর রাত পৌনে ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সূত্র জানায়, প্লান্টের ‘বার্নফিড’ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে।
রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টের জেনারেল ম্যানেজার রওনকুল ইসলাম বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টের পরই সবকিছু জানা যাবে।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক শিমুল মো. রাফি বলেন, খবর পেয়ে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে ২টি-সহ শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের ৬টি ইউনিট একযোগে কাজ করে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বার্নফিড থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।
এদিকে, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা তালুকদার। তিনি জানান, তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে না। মূলত শোধনাগারের বর্জ্যের মধ্যে আগুন জ্বলছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষতার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকেহ