কোনো স্থানে কোনো অজুহাতে গণহত্যার জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি না ঘটা নিশ্চিতে বাংলাদেশের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গণহত্যা অপরাধের শিকারদের স্মরণ ও মর্যাদা এবং এ অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে গণহত্যার অগণিত শিকারদের স্মরণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতি হিসেবে আমরা সমসাময়িক ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যার শিকার হয়েছি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও ব্যক্তিদের তাদের জাতিগত-রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে লক্ষ্যবস্তু করা কেবল জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের ওপর আক্রমণ নয় বরং মানবতার মূল মর্মবাণীর জন্য একটি গুরুতর অপমান।
বিশেষ করে শিশু ও নারীদের ওপর বর্বরতা গভীর যন্ত্রণাদায়ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আইনগুলো প্রত্যেক পুরুষ ও নারীকে এই ধরনের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকতে বলে।
প্রধান উপদেষ্টা ন্যায়বিচারের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ভুক্তভোগীদের জন্য জবাবদিহিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, গণহত্যা কনভেনশন ও রোম সংবিধির রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ এই আইনি দলিলের সার্বজনীনকরণে অবিচল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ যাত্রায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে মোকাবিলা, গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের মূল কারণগুলো নিরসন এবং শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতির প্রচার করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা এই দিনটি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে, এই ধরনের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ এবং শান্তি, মর্যাদা এবং মানবতা বিরাজ করবে এমন একটি ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বের একটি গম্ভীর অনুস্মারক হিসেবে কাজ করুক— এ আশা ব্যক্ত করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস