বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

গণশুনানিতে আলোচকবৃন্দ: গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব জনবিরোধী ও বেআইনি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর আয়োজিত গণশুনানিতে তোপের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও তিতাসের কর্মকর্তারা। শুনানিতে অংশ নিয়ে আলোচকবৃন্দ বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনার অভাবে জ্বালানিখাত এখন বিপর্যস্ত। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। তারা বলেন, এধরণের প্রস্তাব জনবিরোধী ও বেআইনি।

তাছাড়া তিতাস গ্যাস কোম্পানি বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠাণ। আগামী অর্থবছর কোম্পানি পরিচালনা করতে কোন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন নেই। বরং ২০১৬-১৭ অর্থবছর খরচ বাদ দিয়ে ৩৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বাড়তি মুনাফা থাকবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য দিয়েছে। সোমবার বিইআরসি’তে অনুষ্ঠিত তিতাসের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের গণশুনানীতে এই প্রতিবেদন উপস্থান করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিতাসের প্রতিঘনমিটার গ্যাস পরিচালনায় খরচ পরে ৪১ পয়সা করে। কিন্তু এখন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৬২ পয়সা। এতে প্রতি ঘনমিটারে ২৩ পয়সা করে লাভ হচ্ছে। তবে রাজস্ব চাহিদা মেটাতে আরও দুই পয়সা করে প্রয়োজন হবে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি আবাসিক দুই চুলা ৬৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, এক চুলা ৬০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ১০০ টাকা আর প্রতি ঘনমিটার সাত টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করে।

এছাড়াও শিল্পকারখানার ক্যাপটিভ পাওয়ারে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম আট টাকা ৩৬ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ২৬ পয়সা, যানবাহনের সিএনজি ২৭ থেকে ৪৯ দশমিক ৫০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতে প্রতি ঘনমিটার দুই টাকা ৮২ পয়সা থেকে চার টাকা ৬০ পয়সা, সার কারখানায় দুই টাকা ৫৮ পয়সা থেকে ৪ টাকা ৪১ পয়সা করার প্রস্তাব দেয় তিতাস।

তিতাসের প্রস্তবনার উপর গণশুনানি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান, সদস্য মাকসুদুল হক ও রহমান র্মুশেদ। তিতাসের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান, পরিচালক (অর্থ) উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোক্তাদের পক্ষে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম সামসুল আলম, জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন পেশা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, এখন তিতাস লাভ করছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু তিতাস বলছে, উন্নয়ন কাজের জন্য আয় বাড়ানো প্রয়োজন। দাম না বাড়ালে উন্নয়ন কাজ করা যাবে না।

নুরুল ইসলাম বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো যেতে পারে। যারা গ্যাস পাচ্ছে না, যারা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে তাদের মাসে গড়ে খরচ হয় এক হাজার টাকা। সে হিসেবে গ্যাসের দাম এক হাজার ২০০ টাকা করা যেতে পারে। ক্যাপটিভ বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কো-জেনারেশন করা যেতে পারে। তবে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে গ্রিডের বিদ্যুৎকে।

শামসুল আলম গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধীতা করে বলেন, যে কোম্পানি মুনাফা করছে, সেই কোম্পানির আয় অনুযায়ি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এই কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনার অভাবে জ্বালানিখাত এখন বিপর্যস্ত। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই নেই।

আগামী ১০ আগষ্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১১ আগষ্ট, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১৪ আগষ্ট, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১৬ আগষ্ট ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাব নিয়ে ১৭ আগষ্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর গ্যাসের বাল্ক মূল্যহার নিয়ে ১৮ আগষ্ট পেট্রোবাংলা, বিজিএফসিএল, এসজিএফএল ও বাপেক্সের আবেদনের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

শুনানিতে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ালেও বিনিয়োগকারীদেরকে তার কোনও লভ্যংশ দেয়া হচ্ছেনা। নামে মাত্র ১৫% লভ্যাংশ তারা পাচ্ছেন। ফলে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। অথচ কোম্পানি এখন ডাবলের চেয়েও বেশি মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এটা অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী।

শুনানিতে প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন, বিইআরসি’র কর্মকর্তা মাসুদুল হক ও রাসেল মোর্শেদ, তিতাস কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মীর মশিউর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদেরকে ‘তথাকথিত’ বিনিয়োগকারী হিসাবে আখ্যায়িত করলে উপস্থিত বিনিয়োগকারীরে মধ্য থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com