শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

গণশুনানিতে আলোচকবৃন্দ: গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব জনবিরোধী ও বেআইনি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর আয়োজিত গণশুনানিতে তোপের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও তিতাসের কর্মকর্তারা। শুনানিতে অংশ নিয়ে আলোচকবৃন্দ বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনার অভাবে জ্বালানিখাত এখন বিপর্যস্ত। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। তারা বলেন, এধরণের প্রস্তাব জনবিরোধী ও বেআইনি।

তাছাড়া তিতাস গ্যাস কোম্পানি বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠাণ। আগামী অর্থবছর কোম্পানি পরিচালনা করতে কোন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন নেই। বরং ২০১৬-১৭ অর্থবছর খরচ বাদ দিয়ে ৩৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বাড়তি মুনাফা থাকবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য দিয়েছে। সোমবার বিইআরসি’তে অনুষ্ঠিত তিতাসের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের গণশুনানীতে এই প্রতিবেদন উপস্থান করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিতাসের প্রতিঘনমিটার গ্যাস পরিচালনায় খরচ পরে ৪১ পয়সা করে। কিন্তু এখন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৬২ পয়সা। এতে প্রতি ঘনমিটারে ২৩ পয়সা করে লাভ হচ্ছে। তবে রাজস্ব চাহিদা মেটাতে আরও দুই পয়সা করে প্রয়োজন হবে।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি আবাসিক দুই চুলা ৬৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, এক চুলা ৬০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ১০০ টাকা আর প্রতি ঘনমিটার সাত টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করে।

এছাড়াও শিল্পকারখানার ক্যাপটিভ পাওয়ারে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম আট টাকা ৩৬ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ২৬ পয়সা, যানবাহনের সিএনজি ২৭ থেকে ৪৯ দশমিক ৫০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতে প্রতি ঘনমিটার দুই টাকা ৮২ পয়সা থেকে চার টাকা ৬০ পয়সা, সার কারখানায় দুই টাকা ৫৮ পয়সা থেকে ৪ টাকা ৪১ পয়সা করার প্রস্তাব দেয় তিতাস।

তিতাসের প্রস্তবনার উপর গণশুনানি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান, সদস্য মাকসুদুল হক ও রহমান র্মুশেদ। তিতাসের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান, পরিচালক (অর্থ) উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোক্তাদের পক্ষে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম সামসুল আলম, জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন পেশা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, এখন তিতাস লাভ করছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু তিতাস বলছে, উন্নয়ন কাজের জন্য আয় বাড়ানো প্রয়োজন। দাম না বাড়ালে উন্নয়ন কাজ করা যাবে না।

নুরুল ইসলাম বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো যেতে পারে। যারা গ্যাস পাচ্ছে না, যারা লাকড়ি দিয়ে রান্না করছে তাদের মাসে গড়ে খরচ হয় এক হাজার টাকা। সে হিসেবে গ্যাসের দাম এক হাজার ২০০ টাকা করা যেতে পারে। ক্যাপটিভ বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কো-জেনারেশন করা যেতে পারে। তবে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে গ্রিডের বিদ্যুৎকে।

শামসুল আলম গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিরোধীতা করে বলেন, যে কোম্পানি মুনাফা করছে, সেই কোম্পানির আয় অনুযায়ি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এই কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, সরকারের পরিকল্পনার অভাবে জ্বালানিখাত এখন বিপর্যস্ত। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই নেই।

আগামী ১০ আগষ্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১১ আগষ্ট, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১৪ আগষ্ট, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১৬ আগষ্ট ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাব নিয়ে ১৭ আগষ্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর গ্যাসের বাল্ক মূল্যহার নিয়ে ১৮ আগষ্ট পেট্রোবাংলা, বিজিএফসিএল, এসজিএফএল ও বাপেক্সের আবেদনের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

শুনানিতে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ালেও বিনিয়োগকারীদেরকে তার কোনও লভ্যংশ দেয়া হচ্ছেনা। নামে মাত্র ১৫% লভ্যাংশ তারা পাচ্ছেন। ফলে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। অথচ কোম্পানি এখন ডাবলের চেয়েও বেশি মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এটা অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী।

শুনানিতে প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন, বিইআরসি’র কর্মকর্তা মাসুদুল হক ও রাসেল মোর্শেদ, তিতাস কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মীর মশিউর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদেরকে ‘তথাকথিত’ বিনিয়োগকারী হিসাবে আখ্যায়িত করলে উপস্থিত বিনিয়োগকারীরে মধ্য থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com