শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বনানীর সুইটড্রিম হোটেলে মদ, অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন দুই সাংবাদিক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৬ হত্যা মামলা ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী আটক সম্পদের হিসাব দিতে হবে উপদেষ্টাদের, নীতিমালা অনুমোদন অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন যেসব দেশে অর্থপাচার হচ্ছে তাদের দায়ও কম নয়: টিআইবি হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম নেওয়া হলো সাবেক এমপি ফজলে করিমকে পদ্মায় ভেঙে পড়লো জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের টাওয়ার শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই: ফখরুল ‘নতুন কোনো ইটাভাটার অনুমতি নয়, ৩৪৯১টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে’ সময় থাকতে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠান, ভারতের উদ্দেশে দুদু ইউক্রেনে যাচ্ছে ভারতের অস্ত্র: রিপোর্ট ঢাবিতে চোর সন্দেহে হত্যা : তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার ভৈরবে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের মত্যুদণ্ড ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ফরেন রেমিট্যান্স হাউসের মতবিনিময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র পেলো ইসলামী ব্যাংক নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যার পরিকল্পনা গ্রেফতার ১ জন

গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী ‘কালাকানুন’ বাতিলসহ তিন দফা দাবি

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব ‘কালাকানুন’ বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সামবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এসব দাবি জানিয়ে এই সমাবেশ করেন সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের এই দুটি সংগঠন।

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সাগর-রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যে সরকারের সময় হত্যা করা হয়েছিল, সেই সরকারের অনেক প্রিয়ভাজন ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অনেক মানুষ মনে করে। এ কারণে দীর্ঘ সময় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়েছে, কিন্তু চার্জশিট দেওয়া হয়নি।

এখন এই সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দায় মুক্তির সময়। যদি তারা এই দায় কাঁধ থেকে নামাতে চায়, তাহলে সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার৷ তারা বলেছে, এটি তারা করবে। আমরাও বিশ্বাস করি এটি তারা করবে। কিন্তু সময় থাকতে তা শেষ করতে হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, এখনো কালাকানুনগুলো দূর হয়নি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এখনো নিরঙ্কুশ হয়নি, নিশ্চিত হয়নি। অনেক সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। সেগুলোর বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। কালাকানুনগুলো যেন রোধ করা হয় ৷

সাগর-রুনির প্রকৃতি খুনিদের যেনো চিহ্নিত করা হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের এখন দেশ চালাচ্ছে। তারা একটি সংস্কারের কাজ করছে৷ আমাদের দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রত্যেকের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা, সংস্কারের ক্ষেত্র তৈরি করা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সুগম করা। সেক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়-দায়িত্ব আছে।

৩৬ জুলাই শেষ হয়ে যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতেই থাকবে। এই সংস্কার শুরু হয়েছে এবং পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের হাতে সেই সংস্কার চলবে৷ গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি এখনো অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছ।

সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি এবং আঞ্চলিক ও পরাশক্তিগুলোর মধ্যেও আমাদের এই সাফল্য নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র আছে৷ এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে৷ আমরা যেন এগুলো সম্মিলিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে, সচেতনতার সঙ্গে, পরিপক্কতার সঙ্গে, ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবিলা করি।

সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। আমরা তিনটা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। প্রথম দাবি ছিল এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। দ্বিতীয় দাবি ছিল সাগর রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার। তৃতীয় দাবি ছিল সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে। 

দীর্ঘ আন্দোলন এবং সংগ্রামের পরে সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র জনতার রক্তের ওপর দিয়ে আজকে এই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এখনো দুটি দাবি আদায় হয়নি। সেগুলো হলো, সাগর রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি।

আমরা উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আহ্বান রাখতে চাই, অবিলম্বে সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। এর বাইরে আমরা কোনও কথা শুনতে চাই না। কোনো তালবাহানা দেখতে চাই না। আমরা ১৬ বছর ধরে যে দাবি করে আসছি সেটার থেকে এক চুলও নড়বো না। সাগর রুনিসহ ৬৫ জন সাংবাদিক হত্যার বিচার করতে হবে। এরপরে সকল বন্ধ গণমাধ্যমগুলোকে খুলে দিতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com