আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি নির্বাচনের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে থমকে দিতে চায়। তাদের প্রতিরোধ করাই হবে আজকের দিনের অঙ্গীকার।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা এগিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি। আগামী দিনে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তবে বিএনপি ও জামায়াত বাংলাদেশকে পেছনে ফিরিয়ে নিতে এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে থমকে দিতে চায়।
তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে, যে কোনো মূল্যেই দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে যারা চেষ্টা করে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।
এর আগের ৬টা ৩৪ মিনিটে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, পরে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় শহীদদের। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ (১৬ ডিসেম্বর) পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির দিন, বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন হয় লাল-সবুজের দেশ, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। লাখ লাখ মানুষের উৎসর্গিত জীবন, মা-বোনের লুণ্ঠিত ইজ্জত ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের খুনের দামে পাওয়া এ স্বাধীনতা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে