ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে অর্থপাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
গতকাল ৪ মার্চ ডিসি ড্রাইনো নামের এক আইনজীবী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, “জেলেনস্কি জানেন যে যুদ্ধ যদি শেষ হয়, তাহলে তার ক্ষমতায় থাকার মেয়াদও শেষ হবে। কারণ, যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তিনি হেরে যাবেন। আর তখন জেলেনস্কির প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করবে এবং সেই মামলার আসামি হিসেবে তিনি কারাগারে যাবেন।
শুধু নিজের ক্ষমতা সুরক্ষিত রাখতে জেলেনস্কি নিরপরাধ ইউক্রেনীয়দের মরতে পাঠাচ্ছেন। তিনি একজন স্বৈরশাসক।”
ডিসি ড্রাইনোর সেই পোস্টটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন মাস্ক। সেই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, “এটা সত্যি। যদিও খানিকটা অরুচিকর হবে ব্যাপারটি, তবে যদি তিনি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, সেক্ষেত্রে একটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা উচিত হবে।”
গত শনিবার ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তান্তর করা সংক্রান্ত একটি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।
কিন্তু সেই বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের জন্য জেলেনস্কিকে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ার আহ্বান জানানে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি এবং পুতিনের প্রতি নমনীয় মনোভাবের জন্য ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। উভয়পক্ষের উত্তেজনা ও বাক-বিতণ্ডায় ভেস্তে যায় বৈঠক।
জেলেনস্কি চলে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট। মাস্ক সেই পোস্টটি শেয়ার করে মন্তব্য করেন, “জেলেনস্কি একটি চিরকালীন যুদ্ধ চাইছেন। অর্থাৎ একের পর এক প্রাণহানি, যা কখনও থামবে না।
সূত্র : আরটি, ফার্স্টপোস্ট
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ