বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জঙ্গিবাদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাথে ‘বিস্তারিত’ কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্ব সহকারে কাজ করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা আশাবাদী, আমরাও আশাবাদী, মার্কিন সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে। একই সঙ্গে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তবে নির্বাচনের বিষয়ে কি ধরণের আলোচনা হয়েছেন, তার বিস্তারিত কিছু বলেননি ফখরুল। বৈঠকে খালেদা জিয়া তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
অন্যরা হলেন-দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন।
পরে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ৩৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে। ৪টা ৩৫ মিনিট থেকে ৩৫ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠক হয়।
বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, জন কেরি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। আমাদের দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার সাথে আরো তিন সদস্যসহ বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে আমরা বৈঠক করতে বসি।
বৈঠকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকারের বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সাথে দেশে যেটা এখন অত্যন্ত সংকটময় বিষয় যে, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
দেশের একটা স্থিতিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সাথে তারা সহযোগিতা করছেন, আমাদের দেশের সাথে সহযোগিতা করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে, গণতন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল ছাড়াও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস