বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’ বিএনপির সমাবেশ করতে না দিয়ে সরকার গণতন্ত্রের সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি দিনটিকে (৫ জানুয়ারি) ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ বছর দেশব্যাপী দিবসটিতে ‘কালো পতাকা মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।
৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা থাকার কারণে ওই দিন সমাবেশ না করে ৭ জানুয়ারি সমাবেশের কর্মসূচি দেয় দলটি। এজন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও অনুমতি পায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসে রিজভী।
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আজ ৭ জানুয়ারি ঢাকায় বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু দেশের জনগণ যে দেশের মালিক-এই সত্যটি তারা (সরকার) বেমালুম ভুলে গেছে।’
রিজভী বলেন, ‘এখন গোটা দেশটাকেই আওয়ামী লীগ নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনী মনে করে। যখন যেমন খুশী তারা এই পেটোয়া বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের যেকোন কর্মসূচিকে লাগাতারভাবে দমন করে যাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার জনগণকে ক্ষমতার উৎস মনে করে না, পুলিশকে মনে করে ক্ষমতার উৎস। তাই আজকের কর্মসূচি করতে না দেওয়ায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, তারা গণতন্ত্রের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছে।’
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা ও সমাবেশ করতে না দেওয়ায় তীব্র নিন্দা, ঘৃণা জানান রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে জলকামান, এপিসিসহ ভারী-মাঝারী অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ-র্যা বে কয়েকটি প্লাটুন। অবরুদ্ধ হয়ে আছে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ’
বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনাও করেন রিজভী।
৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে বরিশাল মহানগর কার্যালয়ে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ‘হামলায়’ মহিলা কাউন্সিলরসহ মহিলা দলের অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত করার নিন্দা জানান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘নারীদের প্রতি এই অবমাননাকর ও অমর্যাদাকর আচরণে সারা দেশের মানুষ ধিক্কার জানালেও তাতে সরকারের কোনো টনক নড়ছে না। বিরোধী দলকে নিচিহৃ করার জন্যই অনাচারের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। আর এই পথ বেছে নেওয়ার জন্যই অপরাধীরা আশকারা পাচ্ছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এম