টানা বৃষ্টি-উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে খরস্রোতা খোয়াই ও সুতাং নদীর পানি। এতে
প্লাবিত হয়েছে শায়েস্তাগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শাক সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে পুকুর ও ফিশারির মাছ।
হঠাৎ এ বন্যায় উপজেলার তিন ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের এক হাজার একর ফসলের মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুর জব্বার বলেন, অনেক কষ্ট করে দুই বিঘা জায়গাতে শিম, লাউ, চিচিঙ্গা, পুইশাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি লাগিয়েছিলাম। কিন্তু বন্যার পানিতে সব ডুবে গেছে।
নিশাপট গ্রামের আরেক কৃষক শফিক মিয়া বলেন, সবজিক্ষেত তো শেষ। তিন বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছিলাম। কিন্তু বন্যার পানি সব নিয়া গেলো। এখন কি করে সংসার চালাবো ভেবে পাচ্ছি না।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছের খামারের মালিক সুমন মিয়া বলেন, উজানের পানির কারণে আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ ভেসে গেল। আমার মতো অনেকেরই এমন ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাক্ষনডোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আদিল জজ মিয়া বলেন, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, উপজেলায় মোট সবজি ছিল ২১০ হেক্টর। এর মধ্যে ৭৬ হেক্টর সবজি পুরোপুরি বিনষ্ট হয়ে গেছে। বাকি সবজিগুলো কম বেশি নষ্ট হয়েছে। খুব অল্প সবজির জমি হয়তো থাকবে। পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষতির হিসাবটা আমরা করতে পারবো।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ