খুলনায় চালের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও সুখবর নেই ভোজ্য তেলের বাজারে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করায় দাম কমতির দিকে থাকলেও পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমছে না। সবজির দামও বাড়তির দিকে।
সবেমাত্র বিধিনিষেধ শিথিলে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ভাবিয়ে তুলছে ক্রেতাদের।
খুচরা বাজারে ভালো মানের প্রতিকেজি সরু মিনিকেট চাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মাঝারিটা প্রতিকেজি ৫৪, বাঁশমতি ৬৮, নাজিরশাইল ৬৮, পরশ বালাম ৫২, ইরি-আতপ ৪০, আটাশ-লোকাল ৫৬ এবং আটাশ-আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের চাল বিক্রেতা মো. নান্টু মিয়া বলেন, বৈশাখে চালের দাম কমার কথা থাকলেও কমেনি। বড় বড় মিলার ও ব্যাপারীরা ভরা মৌসুমে স্বল্পদামে ধান কিনে মজুত করেছে। তারা ধানের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ভারত থেকে গত দুই মাসে এলসির কোন চাল আসছে না। তারাও অভিযোগ করেন, নওয়াপাড়ার কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। এলসি বন্ধ আর বাজারে দেশি চালের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে। তবে সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। ফলে বাজারে প্রভাব পড়বে কিনা তা পরে বোঝা যাবে।
এদিকে, জুলাইয়ের শেষ দিকে অতি বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। অনেক ক্রেতাই কাঁচা বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতিকেজি বেগুন ৬০, ঝিঙ্গা ৪০, টমেটো ১০০ ও পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জোড়াকল বাজারে বিক্রেতা মো. বাদশা জানান, মরিচের দাম দু’সপ্তাহ হলো বেড়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে বাড়লেও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় দাম কিছুটা কম।
সয়াবিন তেলের দামও চড়া। বর্তমানে প্রতি পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮০, দুই লিটারের বোতল ২৯৫ ও এক লিটারের বোতল ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের খুচরা তেল ব্যবসায়ী বাবুল জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ কারণে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তেলের দাম হু হু করে বেড়েছে।
নগরীর নতুন বাজারে ক্রেতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মুনসুর হাবিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে সবকিছুর উচ্চমূল্যের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।