খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন, বর্তমানে গোপালগঞ্জে সিভিল সার্জন হিসাবে কর্মরত ডা. নিয়াজ মোহাম্মাদ, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
করোনাকালীন সময়ে নমুনা পরীক্ষার নামে বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগসাজশে আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকতা দুদক খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে চাজশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর তিনজন হলেন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ, মো. রওশন আলী ও ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
চার্জশিটে তদন্ত কমকতা উল্লেখ করেছেন, এজাহারনামীয় আসামি প্রকাশ কুমার দাশ, মো. রওশন আলী, তপতী সরকার, ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, ডা. সুজাত আহম্মেদ পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে বুথে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠায় এবং সেই অনুযায়ী ফলাফল প্রাপ্ত হয়ে তা প্রকাশ করে রোগীদের মধ্যে সরবরাহ করে।
পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সেই অনুযায়ী ইউজার ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। অর্থাৎ প্রকৃত আদায়কৃত ইউজার ফি’র সম্পূর্ণ টাকা জমা না করে ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। যা তাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি