খুলনার বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, মূলা, শিম ও বরবটিসহ নানা সবজি। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের আগ্রহেরও কমতি নেই।
খুলনার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির দোকানগুলো হরেক রকমের শীতের সবজিতে ভরে উঠেছে। নগরীর পাশের উপজেলা এবং সবজির ভান্ডার খ্যাত ডুমুরিয়া ও দাকোপ এলাকা থেকে এসেছে এসব সবজি। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দুএকদিনের মধ্যে সবজির দাম আরও কমবে।
খুলনার টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, দোলখোলা বাজার ঘুরে জানা গেছে, ফুলকপি ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মূলা ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কচু ৭০ টাকা কেজি দরে ও পালং শাক ৩৫ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচরে দাম এখনও একশর বেশি।
এদিকে, ভোজ্যতেলের বাজারে সুখবর নেই। প্রতি লিটার তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়।
বাজারে ঘাটতির অজুহাতে ৪০ টাকার চিনি এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকায়।
খুলনার জোড়াকল বাজারের বিক্রেতা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক পণ্য এখন দোকানে তুলছি না। বিশেষ করে তেল, চিনি ও আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় তা এখন ক্রেতারা খুব বেশি কিনছেন না।
নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের সন্ধ্যা বাজারের মুদি দোকানি আজগর আলী, সফিউল, ও মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভোজ্যতেল ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা।
ময়লাপোতার সন্ধ্যা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হামিদ, গিয়াস জমাদ্দার ও মোকাদ্দেস হোসেন জানান, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে শীতকালীন সব সবজির দাম বেড়েছিল। তবে এখন একটু কমের দিকে যাচ্ছে। আগে পণ্য পরিবহন করতে যেখানে এক টাকা করে লাগতো এখন সেখানে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে শীতকালের সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় একটু একটু করে দাম কমছে। সবজির ক্রেতাও এখন বেড়েছে।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ক্রেতা ইয়াকুব আলী ও মোহরার আইয়ুব আলী জানান, বাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে একটু কমেছে। তাই আগের তুলনায় সবজি কেনার পরিমাণও বেড়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে