বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম : রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে খেলতে নামলেই যেন নিজেদের হারিয়ে খোঁজে খুলনা টাইটান্স।
ঢাকা-পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের সঙ্গে মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল খুলনা। যেটি বিপিএল ইতিহাসেরই সর্বনিম্ন স্কোর। চট্টগ্রামে আজ ২০ ওভারে খুলনা তুলতে পারল ১২৫ রান। সেটি মোহাম্মদ শাহজাদ ও মোহাম্মদ মিথুনের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে ৬বল বাকি থাকতেই টপকে গেল রংপুর।
খুলনার টানা চার ম্যাচের জয়রথ থামিয়ে রংপুর ম্যাচ জিতল ৭ উইকেটে। টানা তিন জয়ে খুলনাকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে গেল নাঈম ইসলামের দল। ছয় ম্যাচে রংপুরের পয়েন্ট ১০। এক ম্যাচ বেশি খেলা খুলনার পয়েন্টও ১০। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে রংপুর।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম এই ম্যাচে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। আবারও ব্যর্থ সৌম্য সরকার। চতুর্থ ওভারেই জুনাইদ খানের বলে শফিউল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি (১৩)।
দ্বিতীয় উইকেটে শাহজাদ ও মিথুন গড়েন বড় জুটি। আগের ম্যাচে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলে জয়ে এনে দিয়েছিলেন দুজন। এবার খুলনার বিপক্ষে দুজন গড়লেন ৭৪ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহর বলে অলক কাপালিকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৮ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় শাহজাদ করেন ৩৭।
এরপর শহীদ আফ্রিদির ২০ বলে ২৬ ও মিথুনের অপরাজিত ৪৯ রানের সুবাদে ৬ বল বাকি থাকতেই টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করে রংপুর। মিথুনের ৪১ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও একটি চারের মার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল খুলনা। আগের ধারাবাহিকতায় এদিনও শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। তৃতীয় ওভারেই আরাফাত সানীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান আব্দুল মজিদ (১০)।
আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারও বেশিক্ষণ টেকেননি। পঞ্চম ওভারে তাকেও ফিরিয়ে দেন সানী। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ফ্লেচার করেন ৮ রান। খুলনার স্কোর তখন ২ উইকেটে ২০।
আগের দুই ম্যাচেই দ্রুত উইকেট হারানোর পর হাল ধরে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন মহামুদউল্লাহ। কিন্তু এবার ব্যর্থ হন অধিনায়কও। প্রথমবার আক্রমণে এসে প্রথম বলেই মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন শহীদ আফ্রিদি।
মিডল স্টাম্পে আফ্রিদির গুড লেংথ বলে স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ জমা পড়ে আনোয়ার আলীর হাতে। মাহমুদউল্লাহ করেন ১০ বলে ১১। খুলনার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৩৮।
চতুর্থ উইকেটে ৫৬ রানের জুটিতে দলকে ৯৪ পর্যন্ত টেনে নিয়েছিলেন তইবুর রহমান ও রিকি উইসেলস। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে ১২৫ রানের পুঁজি পায় খুলনা।
ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে তইবুরের ব্যাট থেকে। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কার মার। এ ছাড়া উইসেলস ২৭ ও আরিফুল করেন ২২ রান। রংপুরের পক্ষে সানী, আফ্রিদি ও রুবেল হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস