বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গুলি, পুলিশ বলছে ‘মিসফায়ার’ বিদেশযাত্রায় দালালের দৌরাত্ম্য কমাতে দেওয়া হচ্ছে সাজা ও অর্থদণ্ড পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে : খাদ্যমন্ত্রী নাটোরে ঋণের চাপে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান কাউন্সিলরের ১০ বছরের কারাদণ্ড নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ তিন দেশ থেকে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার আনবে সরকার ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে ডুবে গেছে লবণ বোঝাই ১০ ট্রলার ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ : সিইসি একলাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে ঢাকা ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন কেন্দ্র দখল করতে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষে আহত ১৫ বুশরা বিবিকে বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাব: প্রধানমন্ত্রী ঝিনাইদহে ৫ ঘণ্টায় ৭ ভোট! ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল নয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় সমকাল পত্রিকা অফিসে আয়োজিত ‘সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা : প্রাতিষ্ঠানিক নীতি কাঠামোর দাবি’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। হেকস/ইপার বাংলাদেশ, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড এবং দৈনিক সমকাল এ বৈঠকের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, একটা কথা উঠেছে এটা ক্যামেরা ট্রায়াল। যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে, সেই প্রজ্ঞাপনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির কারণ স্পষ্ট করে বলা আছে। তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞা হচ্ছে যেখানে কাউকে কোনো পাবলিক বা মিডিয়াকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যেখানে শুধু বিচারক, আসামি আর প্রয়োজন হলে তার আইনজীবীকে রাখা হয়। এমনকি তার কোনো তথ্যাদি প্রকাশও করা যাবে না। এমন যদি হয় তাহলে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত সাত মাস যাবত এই কোর্টটা বসছে। এই সাত মাসে মূল আসামি কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন না। নিরাপত্তা জনিত কারণে বা অন্য কোনো কারণে তিনি যখন হাজিরা দিচ্ছেন না তখন সেইটার সুবিধার্থে নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার জন্য সেখানে কোর্ট বসানো হয়েছে। আমার মনে হয়, এতে কারো অধিকার খর্ব করা হয়নি।’

নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা না করে বিচারকে কিভাবে বয়কট করা যায় বিএনপির আইনজীবীরা সেই চেষ্টাই করছে এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এতে শুধু এটাই প্রমাণিত হয়, তারা নিজেরা নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করছেন। সেই কারণে তারা বিচারের সম্মুখিন হতে চান না। তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা যদি নিজেদের নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বিচার সুষ্ঠু হচ্ছে এবং সুষ্ঠু হবে। ন্যায় বিচার তারা পাবে।

মন্ত্রী বলেন, গতকালক আপনারা দেখেছেন জিয়া চ্যারিটেবল মামলার আসামি বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাহলে এটা প্রমাণিত হয় যে এই কোর্ট সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। যেখানে আদালত বসানো হয়েছে সেখানে কারো প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ নয়। এটা ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞায়ও পড়ে না।

আদালতে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, এটা হয়তো তার ইমোশোনাল বক্তব্য। এটাকে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিব না। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পাঠানো আইনি নোটিশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কপি হাতে পাইনি। হাতে পেলে সিদ্ধান্ত নেব।
নির্বাচন কালীন সরকারের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি আগেও বলেছি, আজকেও বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, পার্টির নেতা। তিনিই একমাত্র ঘোষণা দিতে পারেন কখন তিনি নির্বাচনকালীন সরকার করবেন। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নাই এটাও ঠিক। আবার নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারবে না এমন কথাও কিন্তু সংবিধানে নেই।

নির্বাচনকালীন সময়ে যেহেতু নীতি নির্ধারণ হয় না। সেই সময়ে বাংলাদেশের জনগণের অর্থ যাতে নষ্ট না হয় সেই কারণে তিনি তার মন্ত্রী পরিষদের আকার ছোট করে আনবেন। সেটাকেই তিনি বলছেন নির্বাচনকালীন সরকার। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে আছে, নির্বাচনের সময় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সকল দায়িত্ব পালন করবেন। আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে এসেছে সেটা দেখা হচ্ছে।

এর আগে আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকার ফের ক্ষমতায় আসতে পারলে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই বৈষম্য বিলোপ আইনটি পাস করা হবে।

দৈনিক সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফির সঞ্চলনায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এডভোকেট সুলতানা কামাল, সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্যরা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com