বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন। শুনানিকালে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। একই আদালতে প্রথমে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দুই মামলার বিচারকার্য চলছে। আজ উভয় মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল।
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ২৯ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ওই দিন বিচারক এ মামলার আসামি খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি করতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। অন্যথায় আসামিদের জামিন বাতিল হবে বলে জানান বিচারক।
আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি তার পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেবেন বলেও আদালতকে জানান। এরপর তিনি আদালতে একটি লিখিত বক্তব্য দেন। তবে ওই দিন তার বক্তব্য শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এম