বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচন করেই ক্ষমতায় যেতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউনিফরম পরা লোক এসে কি তাঁকে সিংহাসনে বসিয়ে দেবেন?
‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়ক চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে না গিয়ে কী পেলেন? তিনি কি ভেবেছেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে সাঁজোয়া যান এসে তাঁর হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন? ইউনিফরম পরা লোক এসে তাঁকে সিংহাসনে বসিয়ে দেবেন? কিন্তু এসব আর কখনো হবে না। নির্বাচন করেই ক্ষমতায় যেতে হবে।’
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা এখন জনগণের মাঠে। আপনি কোর্টে। ভবিষ্যতে আপনার জায়গা কোথায় হবে তা জনগণ ঠিক করবে।’ মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দিয়েছে। অথচ এ নির্বাচনের আগে-পরে খালেদা জিয়া মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিলেন। তিনি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা না করে বহু মায়ের ছেলেদের হাতে পেট্রলবোমা তুলে দিয়ে তাদের কোল খালি করেছেন। কিন্তু এসব করে আপনি আমাদের খামচি মারার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবেন না। আপনার এই অগণতান্ত্রিক মানসিকতা আপনার দলকে ডোবানোর জন্য যথেষ্ট।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে বদলে দিয়েছেন। তাই উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশ চাইলে শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেন, দেশকে অগণতান্ত্রিক দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছিল। এই সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে দেশের আজকের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাও দেখা যেত না। বরং দেশ পিছিয়ে যেত।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, খালেদা জিয়া দেশকে তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। মানুষকে পুড়িয়ে পুরো দেশকে বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিলেন। ভুল নেতৃত্বের কারণে তাঁর দলটি চুরমার হয়ে গেছে। দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ছেড়ে অবসরে যাওয়া উচিত।
এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ, কামাল আহমেদ মজুমদার, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস