অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি আলেম-ওলামাসহ গণতন্ত্রকামী সবার মুক্তি দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী সমননা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জাতীয়তাবাদী সমননা জোট দাবি আদায় ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা করছে। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, তারা আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। সুতরাং এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এ লক্ষ্যে তারা সবাই আজ এক সুরে কথা বলছে। এটাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সুতরাং শেখ হাসিনার অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, আজ গণতন্ত্র ধ্বংস করে বিএনপিসহ বিরোধীদলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। এই সরকারকে যেতেই হবে। কারণ, এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামীতে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
সরকারপ্রধানের উদ্দেশে এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, অবিলম্বে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে একটা পর্যায়ে গিয়ে আপনার পাশে কেউ থাকবে না।
এম এন শাওন সাদেকী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে যতই ছলচাতুরী করুক না কেন, এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের অবশ্যই গণদাবি মানতে হবে।
পরে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ