বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃস্পতিবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি উপলক্ষে তার মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে মিলিত হওয়ার পর স্লোগান দেয়া এবং না দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে স্লোগান দেয়া এবং না দেয়া নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাবি কমিটির মধ্যে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ছিল। বৃহস্প্রতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে আসার পরে ইকবাল হোসেন শ্যামলের একজন অনুসারী স্লোগান দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিব তাদের স্লোগান বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু রাকিবের কথা না শুনে তারা স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ক্ষেপে যান রাকিব। এ নিয়ে শ্যামলের সঙ্গে তিনি তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরপর রাজু ভাস্কর্য থেকে টিএসসির পায়রা চত্ত্বরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হলে সেখানে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ডাকসু নির্বাচনে জিয়া হল সংসদের ভিপি প্রার্থী তারেক হাসান মামুনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন রাকিব। এক পর্যায়ে রাকিব তারেককে অশালীন ভাষায় গালি ও থাপ্পড় এবং তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। এ সময় আহ্বায়কের থাপ্পড় নিয়ে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিবের অনুসারী ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তারেক হাসান মামুন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তখন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি পরে দেখবেন বলে জানান। তার কিছুক্ষণ পরে রাকিবুল হাসান রাকিব কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে তারেক হাসান মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান সাগর বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলেছেন বিষয়টি পরে দেখবেন।
এ সময় রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাঙ্গে কথা বলছি, ‘তুই বেটা থাম’। পরে এ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিবের অনুসারীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, এটা আসলে তেমন কোনো বড় ঘটনা না। আমাদের কিছু ছোটভাই নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি করছিল। ছোট মানুষ তাই তারা একটু উত্তেজিত হয়ছিল। পরে আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এটা ওইখানেই শেষ করে দিই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমাদের মধ্যে তেমন কোনো ঝামেলা হয়নি। সামান্য একটু কথা কাটাকাটি হয়ছিল। কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর