বাংলা৭১নিউজ,হিলি(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: হিলি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব এ বন্দরে থেকে সরকার পেয়ে থাকেন । অথচ এই বন্দরের প্রধান সড়কেরই হালদশা। খালেখন্দে ভরে গেছে সড়কটি।
এতে করে ভোগান্তি চরমে যানবহনসহ এলাকাবাসীর। রাত-দিন ২৪ ঘন্টা ৪০ থেকে ৪২ টন পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো এই রাস্তা দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতাযাত করে। যার কারনে সহজেই সড়কটিতে খালখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
হিলি চারমাথা পোর্ট থেকে দক্ষিণে রাজধানী মোড় প্রধান সড়ক দিয়ে কোচ, বাসসহ ভারি ওজনের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রামে যাতাযাত করে। ১০ চাকা ট্রাকগুলোতে ৪০ থেকে ৪২ টন পাথর নিয়ে এই সড়কে চলাচল করে।
অন্য দিকে ১৫ থেকে ২০ ওজনের পণ্যবাহী ট্রাকসহ কোচ বাস যাতাযাত করছে। ছোট এবং ধারন ক্ষমতা কম এই রাস্তার। যার জন্য ভারি ওজনের যানবহনের কারনে সহজেই সড়কটি ভেঙে পড়ছে। চারমাথা থেকে রাজধানী মোড়ের রাস্তাটির বেহালদশা। বেশ কয়েকটি স্থান ভেঙে খাদে পরিণত হয়েছে। দির্ঘদিন ধরে ভয় আর ভিতি নিয়ে চলাফেরা করছে সব ধরনের যানবহন সহ পথচারীরা।
কথা হয় যাত্রীবাহী বিআরটিসি গাড়ি চালকের সাথে। তিনি বলেন, দিনাজপুর থেকে বগুড়ায় এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতাযাত করি। যাত্রী নিয়ে এই রাস্তায় চলাফেরা বিপদ জনক মনে হয়। বেশ কয়েক জায়গায় বড় আকারের গর্ত রয়েছে, সেখানে পার হতে যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে।
৪০ টন পাথর বোঝায় ট্রাকচালক রহিম বলেন, রাস্তার যে অবস্থা ভাই, কখন কি হয়? ভাঙা-চুড়া সড়ক গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় লাগে। বিকল্প কোন ভাল রাস্তা নেই বিধায় এই রাস্তা দিয়েই চলতে হচ্ছে।
ভ্যান চালক কাজল জানান, এতোই রাস্তা খারাপ, ভয়ে হিলির চুড়িপট্টির ছোট রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে গেলে যাত্রীদের খুব কষ্ট হয়।
পথচারী কুদ্দুস আলী বলেন, এই রাস্তা এখন আর চলাফেরার মত উপযোগী নই। রাস্তার পাশে আমার বাড়ি। বাড়ি থেকে বের হয়ে এই সড়ক দিয়ে যেতে পারছি না। খালখন্দে ভরে গেছে। তাই বিকল্প পথ দিয়ে যাতাযাত করতে হচ্ছে।
হিলি হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, হিলির প্রধান সড়কগুলি মুলত দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এযাবৎ অনেক বার কর্তৃপক্ষের নিকট এই সড়কের বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের হিলির এই রাস্তা। ইতিমধ্যে তাদের সাথে আমি কথা বলেছি। তিনি আরও জানান, জয়পুরহাট থেকে হিলি সিপি পর্যন্ত সড়কের যে কাজ শুরু হয়েছিলো তা করোনার কারনে বন্ধ ছিলো। আমি ইঞ্জিনিয়ারে সাথে কথা বলেছি, খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তার নির্মাণের কাজ শুরু করবেন তারা।
বাংলা৭১নিউজ/এবি