বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার কুতুকছড়িতে যৌথবাহিনীর সাথে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউপিডিএফের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে একটি সাব মেশিনগানসহ দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ৬৮ রাউন্ড গুলি ও অন্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, কুতুকছড়িতে ইউপিডিএফের ১৫-২০ সদস্যের একটি সশস্ত্র দল দলীয় প্রধানের নেতৃত্বে গোপন বৈঠক করে পার্বত্য চট্টগ্রামের তান্দং, গঙ্গারাম, সাজেক, বঙগাতলী, ঘিলাছড়ি, হামুক্কুছড়া, কুতুকছড়ি, মাইলছড়ি, সিদ্ধিছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে খবর পাওয়া যায়। গোপন বৈঠক শেষে ইউপিডিএফের সশস্ত্র দলটি গোপন আস্তানায় চলে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মহালছড়ি জোন সদর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল দাতকুপিয়া এবং ভুয়াছড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে গিয়ে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানাটির সন্ধান পায় এবং যৌথবাহিনী সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা ঘিরে ফেলতে সম হয়।
যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে ল্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দলটিও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি অন্ধকার পাহাড়ে পালিয়ে যায়।
এর কিছু সময় পরে বন্দুকযুদ্ধে সামরিক পোশাক পরিহিত ইউপিডিএফের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিরাপত্তা বাহিনী তার কাছ থেকে ৪৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি চাইনিজ সাব মেশিনগান (এসএমজি) উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আরো একটি বিদেশী জি-৩ রাইফেল (১৯ রাউন্ড গুলিসহ), এক রাউন্ড খালি কার্তুজ এবং একটি ব্যাগ (ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদিসহ), একটি ওয়্যারলেস সেট এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। এ ছাড়াও পালিয়ে যাওয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের লক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর চিরুনি অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে বিনষ্ট করার লক্ষে ভূমি দখল, বাঙালি হটাও এবং তথাকথিত জুমল্যান্ড গঠনের চক্রান্ত নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনগুলো খুন, গুম, হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানান সশস্ত্র অপপ্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়।
বাংলা৭১নিউজ/এন