ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না সরকার। যারা জনগণের ভোটকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় তারা তো নিরপেক্ষ নির্বাচনকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমালোচনা করবেই, বিরোধীতা করবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে পরে তাদের যে সিংহাসন, তাদের যে গদি এই গদিটা ধসে যাবে। এই ভয়ে তারা বলছেন, বিএনপিকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বাদ দিতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ফিরে আসলে পরে তাদের দুর্বিনীত দুঃশাসন টিকবে না, গণতন্ত্র ফিরে আসলে পরে তাদের জন্য মহাবিপর্যয়। কারণ আপনারা দেখেছেন তাদেরই সোনার ছেলেরা ছাত্রলীগ, তাদের হাতে তারা বই-কলমের বদলে লাঠি তুলে দিয়েছেন, যার প্রমাণ কয়েক দিন আগে দেখেছেন।
রিজভী বলেন, একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সোনার ছেলেরা এবং ইডেন কলেজে তাদের স্বর্ণালি কন্যারা যে ঘটনা ঘটাচ্ছেন এটা তো নজিরবিহীন। এসব ঘটনা অব্যাহত রাখতেই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলছেন যে, বিএনপিকে তাদের মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিন্তা বাদ দিতে হবে। এটা তারা বলবেনই। তাদের অবাধ লুণ্ঠন এবং ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য এসব কথা বলছেন।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক ও সদস্য মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্ব নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রিজভী। পরে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এই সময়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের মাওলানা মো. সেলিম রেজা, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, মাওলানা এনামুল হক মাজেদী, কারি এখলাস উদ্দিন বাবুল, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা নুরে আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/একে