বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার গদিতে আসীন থাকা প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। তিনি সেনাবাহিনীর দেয়া পদত্যাগ প্রস্তাবে আগ্রহী নন। মুগাবের সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র এমনটাই জানিয়েছে বিবিসিকে। মুগাবের পর ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ দলের নেতৃত্বে কে আসছে, তা নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে সে দেশের সংস্কারপন্থীদের উপর নিপীড়ন চালানোর প্রতিবাদে বুধবার জিম্বাবুয়ের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। তখন থেকেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে’কে।
প্রায় চার দশক ধরে জিম্বাবুয়ের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। ক্ষমতার মসনদে আসীন থাকার অভ্যাস তার অন্তর্গত হয়ে গেছে, তাই ক্ষমতা ছাড়ার প্রস্তাব তিনি মানতে পারছেন না কোনভাবেই।
এ সংক্রান্ত ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল কন্সতান্তিনো চিওয়েঙ্গা। তিনি এ বিষয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন নি। অন্যদিকে,জিম্বাবুয়ের বিরোধী দলের সংস্কারপন্থী নেতা মরগান সভিঙ্গিরায়ি প্রেসিডেন্ট মুগাবের পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেন যে, তিনি জিম্বাবুয়েতে সেনা শাসন চান না। জনকল্যাণের স্বার্থে মুগাবের উচিৎ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া- এমনটিও বলেন তিনি। মুগাবের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক সংকটের শুরুটা হয়েছিল গত সপ্তাহে। স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে আনা ও পরে প্রেসিডেন্ট করার পথ সুগম করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মংঙ্গাগোয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। সংস্কার পন্থীদের ওপর এ ধরণের নিপীড়ন বন্ধ করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে মুগাবেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান সে দেশের সেনাপ্রধান। তবে তা আমলে নিতে চান নি মুগাবে। আর এতেই চটে গিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। এখন তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে ক্ষমতার মসনদে দীর্ঘ সময়ে আসীন মুগাবে তা মানতে চাইছেন না। তিনি আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইছেন ক্ষমতা। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছে বিশ্ব।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস