বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ক্লাস বর্জন অব্যাহত থাকলেও নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।মামুন বলেন, যেহেতু সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে সেহেতু আমরা গতকাল আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ক্লাস বর্জন অব্যাহত থাকবে। এখন যেহেতু অধিকাংশ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল চলছে তাই নিয়মিত পরীক্ষা চলবে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেবে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস না হলেও নিয়মিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানি বলেন, নিয়মিত পরীক্ষা চলছে। শিক্ষার্থীরা আসলে ক্লাসও চলবে।
এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে শাহবাগ মোড়ের অবরোধ স্থগিত করেন আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগ মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিল বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে আমরা আর কোনো সময় জুড়ে দিচ্ছি না। তবে আমরা কোটা বাতিল বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকব। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আর আন্দোলন করব না। তবে ক্লাসে ফিরে যাব না।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে তালা দেওয়া হয়। দফায় দফায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এরপরই সড়ক অবরোধে করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর কয়েক দফায় আল্টিমেটাম শেষে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
গত ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস