বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ১৩ সংখ্যাটা কারো কারো কাছে অপয়া হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্য নয়। তার কাছে এই সংখ্যাটা যে ভীষণ কাঙ্ক্ষিত। ১৩ আগস্ট, ২০১৬। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা শেষ করে এদিনই ক্রিকেটে ফিরছেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।
আইসিসি ও ইসিবি অনুমোদনহীন ইংল্যান্ডের সানডে লিগ খেলতে কিছু দিন আগে লন্ডন যান মোহাম্মদ আশাফুল। আজ ১৩ আগস্ট অর্থ্যাৎ ক্রিকেটে ফেরার দিনেই তিনি ঢাকায় ফিরছেন।
২০ জুলাই থেকে শুরু হবে লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট লিগ, বিসিএল। এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য অনেক দিন ধরেই অধীন হয়ে আছেন তিনি। কিন্তু এ লিগে আদৌ খেলতে পারবেন কি না সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে রবিবার।
২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিসিবি ডিসিপ্লিনারি কোডের আর্টিক্যাল ৬.৪ ধারা অনুসারে রায় ঘোষণার সময় বলা হয়, আশরাফুল যদি বিসিবি বা আইসিসি আয়োজিত দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ‘আইসিসির সন্তুষ্টি সার্টিফিকেট’ অর্জন করতে পারেন, তাহলে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্টের পর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। কিন্তু দিন ক’য়েক আগে আশরাফুলের আইনজীবী জানান আইসিসির ‘সন্তুষ্টি সার্টিফিকেট’ অর্জন করতে না পারার কথা। ফলে আর্ন্তজাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগ খেলতে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে তাকে। তবে ১৩ আগস্ট থেকে বিসিবির বাদবাকি টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন আশরাফুল।
২০ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া বিসিএল লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট হলেও এটা অনেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগই। যদিও দেশের মূল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে বিপিএল। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও এখানে পরিষ্কার নয় যে, আশরাফুল বিসিএলে খেলতে পারবেন কি না।
বিসিবি আইসিসির কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মেইল পাঠিয়েছে। জানা গেছে, রবিবারই মেইলের জবাব আসবে। এরপর পরিষ্কার হয়ে যাবে ২০ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া ওই টুর্নামেন্টে আশরাফুল খেলতে পারবেন কি না।
২০১৩ সালে বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায় শিকার করায় ৮ বছর নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। পরের রায়ের বিপক্ষে আপিল করলে শাস্তির মেয়াদ তিন বছর কমিয়ে আনা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস