শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের সবাই পালিয়েছেন। এ সময় একটি কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়ে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাবির সবগুলো নারীদের হল থেকে ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বিশ্বিবিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাবি শিক্ষার্থীরা জানান, এদিন সকালে নেতাকর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।
এদিকে এদিন সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছেন। এ সময় সূর্যসেন হলের শয়নের ৩৪৪ নং রুম থেকে এই অস্ত্র পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। মঙ্গলবার সেই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে ৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বুধবার ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল’ করবে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ