বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: উৎসর্গ : কবি আবুল হাসান ও হেলাল হাফিজ, যাদের কবিতা পড়ে কবিতার মতই মানুষকে ভালবাসতে শিখেছি।
এক.
আমাদের শুদ্ধ ভালবাসার জন্য
আশীর্বাদ দিয়েছেন স্রষ্টা
স্রষ্টা তাই নিজের প্রয়োজনে
বাঁচিয়ে রাখবেন আমাদের ভালবাসা।
দুই.
ভাবছি তোমার চুলের খোঁপার জন্য
পাঠাব চির সবুজ সুগন্ধিময় রজনীগন্ধা
প্রতিদিন ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভরে দেবে
তোমার দুর্লভ অভিলাসগুলো।
তিন.
পৃথিবীর সব রূপসী মেয়েরাই নিজেদের উপস্থাপন
করার জন্য নানান কৌশলে পটীয়সী, কারুকার্যময়
তুমিও তার ব্যতিক্রম কিছু নও।
চার.
মাঝে মাঝে তুমি আপাত কঠোর আর
হিংস্র ব্যবহারে ক্ষত বিক্ষত করো বটে,
তবে তাতে সুখ আছে অফুরান।
পাঁচ.
সুদূরিকা
সুদুর’ই থেকে যাবে চিরকাল!
ছয়.
তোমার জন্য অনেক নির্বোধের দল ছিল
আছে এবং থাকবে
আমার জন্য কেবল রৌদ্রবর্ণ তুমিই।
সাত.
সেই কবে থেকে তোমার জন্য
অপেক্ষার আগুনে পুড়ছি
পুড়ে পুড়ে দপ করে নিভে গেছি বলে
তুমি দেখোনি আমাকে
আমি সম্ভবত তোমার জন্যই নিঃশেষ হয়ে যাবো।
আট.
যদি কখনো চলে যেতে চাও
যেও, বাঁধা দিব না
একা একা হেঁটে যাবো একলা ক্লান্তিহীন পথ
তবুও তো তোমারই দেওয়া অনিন্দ্য এ উপহার।
নয়.
আমাকে দিব্যি মাতাল করে
অন্ধকার পথে নামিয়ে দিয়ে
সুখে আছো বেশ অন্য কোন তেপান্তরে।
দশ.
সুন্দর মানে কি তুমি?
নাকি বলবে ব্যর্থতাই সুন্দরের অপর নাম।
এগার.
তোমাকে আমি খুঁজে নিতে চাই
বিহ্বল স্বপ্নে,
প্রাত্যহিক অভ্যাসে
আকুল বেদনায়
আবহমানকালে
খরস্রোতা বাস্তবে।
বার.
আজ থেকে তোমার হাতে তুলে দিলাম
এই ক্যাম্পাসের পথে পথে পাওয়া আমাদের সবুজ মুহূর্তগুলো
আমাদের যুগল সজীব খোয়াবগুলো
যত্ন করে বুকের মধ্যে আগলে রেখো
অযত্নে খোলা হাওয়ায় ফেলে রেখো না
মরচে পড়ে যেতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস