শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উসমান খানের ডাকসু নিয়ে আমরা অনেক আগ্রহী : ঢাবি উপাচার্য শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে সরকারের বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা আমাদের ঐক্যের যুদ্ধে ব্যর্থতা রয়েছে: মির্জা ফখরুল ভারতের চক্রান্তে প্রতিবেশী দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ বৃথা হতে দেওয়া যাবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তার নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ চলছে: উপদেষ্টা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়: জামায়াত আমির রাজধানীতে ‘হট্টগোল শিশু উৎসব’ শুরু ৩ হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি তুরস্কের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের জন্য ৭ লাখ কম্বল সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে তথ্য উপদেষ্টার চিঠি মসজিদুল আকসার ইমাম ১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল রাজশাহী বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ২১

ক্যান্সারে শয্যাশায়ী ‘বাঙালি’ স্বর্ণকন্যা মার্গারিটার বাবা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে
আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কোলে মার্গারিটা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশকে অলিম্পিক স্বর্ণপদকের গর্ব অনুভব করানো সেই মার্গারিটা মামুনের বাবা আব্দুল্লাহ আল-মামুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বিছানায় শুয়ে-শুয়েই দেখেছেন মেয়ের বিজয়-দৃশ্য।

আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বাড়ি রাজশাহীর কাশিপুর গ্রামে। সেখানে থাকেন তার বোন দিনা জহুরা। গতকাল কথা হয় তার সঙ্গে।

মার্গারিটাকে কাশিপুরবাসী রিতা বলে ডাকে। বাবার সঙ্গে তিনবার গ্রামে এসেছেন তিনি। সর্বশেষ এসেছেন আট বছর আগে। তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। মার্গারিটা সোনা জয়ের পর থেকে কাশিপুরবাসী আনন্দে ভাসছে।

মামুন গ্রামে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এসে সেই বাড়িতেই ওঠেন। মার্গারিটা বাংলাদেশের খাবার খেতে পারেন না। তাই তাকে সেদ্ধ চিংড়ি এবং মাংসই খাওয়ানো হতো।

মস্কোতে জন্ম নেওয়া ২০ বছর বয়সী মার্গারিটা গেমসের পঞ্চদশ দিনে বাংলাদেশ সময় শনিবার গভীর রাতে ব্যক্তিগত অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে সোনা জেতেন।

মার্গারিটার বাবা মেরিন প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশিয়াতেই থিতু হয়েছেন। মা সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্ট আন্নার কাছ থেকেই দীক্ষা পেয়েছেন তিনি।

মার্গারিটা শেষবার যখন দেশে এসেছিলেন, তখন বেশিরভাগ সময় প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে মেতে থাকতেন। ঘরের পাশে একটি পুকুর আছে। পুকুরপাড়ে আনমনা হয়ে মাছ দেখতে ভালোবাসতেন।

জহুরা বলেন, ‘মামুন সবসময় তার মেয়েকে স্মরণ করিয়ে দিত এটাই বাড়ি। সময় পেলে যেন বাংলাদেশ দেশে চলে আসে।’

মামুন এসএসসি পাশ করেন দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এইচএসসি করেন দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।

‘মর্গে লাশ দেখে ও ডাক্তারি পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এরপর ভর্তি হয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ১৯৮৩ সালের শেষ দিকে বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া চলে যায়। এরপর আন্নাকে বিয়ে করে। মামুনের একটি ছেলেও আছে। নাম ফিলিপ আল মামুন।’ বলেন জহুরা।

শনিবার রাতে কাশিপুরের অনেকে টিভির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের মেয়ে সোনা জিতবেন বলে। মার্গারিটা জন্মভূমির এই রাতজাগা মানুষকে হতাশ করেননি। পদক হাতে নিয়ে ভুলে যাননি এই দেশটার নাম। সোজাসুজি বলে দেন, ‘এই পদক বাংলাদেশেরও।’

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com