পবিত্র কোরআনের সুরা ফুরকানের ৬৩ থেকে ৭৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত ১২ আয়াতে ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ মানুষের ১৩টি গুণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এর প্রথম ছয়টি আনুগত্যবিষয়ক এবং শেষের সাতটি আল্লাহর অবাধ্যতা না করা বিষয়ক। পাশাপাশি হাদিসে আরো পাঁচটি গুণের কথা এসেছে।
১. যে ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে বান্দা মনে করে, সে অনুযায়ী তার আচরণকে আল্লাহর ইচ্ছার অনুগামী রাখে।
২. যে ব্যক্তি সর্বদা নিরহংকারভাবে চলাফেরা করে।
৩. মূর্খদের তাচ্ছিল্যকর আচরণে যারা সর্বদা শান্তভাব অবলম্বন করে।
৪. যারা আল্লাহর ইবাদতে রাত জাগরণ করে।
৫. জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য যারা সর্বদা প্রার্থনা করে।
৬. যারা অপচয় ও কৃপণতার মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করে (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৩-৬৭)
৭. যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে আহ্বান করে না
৮. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করে না।
৯. ব্যভিচার করে না।
১০. শিরক-বিদআত ও মন্দ মেলা ও মজলিসে যোগদান করে না এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না।
১১. যারা বাজে মজলিসের কাছ দিয়ে গমন করলেও ভদ্রতাসহকারে অতিক্রম করে।
১২. যখন তাদের আল্লাহর আয়াত স্মরণ করানো হয়, তখন তারা গভীর মনোযোগ দিয়ে তা শোনে ও তদনুযায়ী শ্রদ্ধাভরে আমল করে।
১৩. যারা সর্বদা আল্লাহর কাছে এই মর্মে প্রার্থনা করে যে ‘হে আমার রব, তুমি আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য চক্ষু শীতলকারী বানিয়ে দাও এবং আমাদের আল্লাহভীরুদের নেতা করো। ’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৮-৭৪)
এ ছাড়া হাদিসে বর্ণিত পাঁচটি মৌলিক গুণ হলো—
১৪. যে ব্যক্তি অন্যের জন্য সেই বস্তু ভালোবাসে, যা নিজের জন্য ভালোবাসে। (বুখারি, হাদিস : ১৩)
১৫. যে ব্যক্তি অনর্থক কথা ও কাজ পরিহার করে চলে। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৫৩)
১৬. যে ব্যক্তি বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯২০)
১৭. যে ব্যক্তি মানুষ ও পশু-পক্ষী সব প্রাণীর প্রতি দয়ার্দ্র আচরণ করে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯২৪)
১৮. অন্যের প্রতি যার ভালোবাসা ও বিদ্বেষ স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৫৯৯)
বাংলা৭১নিউজ/এসএস