বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পরনে ২৩ ফুট লম্বা শাড়ি, ৬ ঘণ্টা ওয়াশরুমে যাননি আলিয়া প্রকাশ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে চীন রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার বেশি সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ঋণের কিস্তি পরিশোধে সময় চান ব্যবসায়ীরা লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৯, শীর্ষ কমান্ডার হারালো হিজবুল্লাহ নদীতে সাতার শেখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ যশোরের সাবেক টিএসআই রফিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সাইফুজ্জামানের দুর্নীতি তদন্তে ব্রিটিশ ক্রাইম এজেন্সিকে চিঠি সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত অভিন্ন নদী নিয়ে শিগগির ভারতের সঙ্গে বৈঠক শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভেঙে দিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া আনিসুল-দীপু মনি-সালমান-পলক-মোজাম্মেল বাবু নতুন মামলায় গ্রেপ্তার মাহফুজকে বিশ্বমঞ্চে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস মহাসচিবের দূত ও আইওএম-এর মহাপরিচালকের সঙ্গে তৌ‌হিদ হোসেনের বৈঠক সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ গ্রেপ্তার ড. ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ইউনূস-ট্রুডো বৈঠক বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের যোগদান জানুয়ারির শুরুতেই বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করলো সরকার

কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা ইছামতীর এ কী রূপ!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদী নাব্যতা হারিয়ে যেন মরা খালে পরিণত হয়েছে। মরা নদীতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করছেন নদী তীরবর্তী কৃষকেরা। 

বছর তিনেক আগে কোটি টাকা ব্যয়ে নদীটি খনন করা হলেও নাব্যতা ফেরেনি। তিন বছর যেতে না যেতেই ইছামতীর প্রবেশ পথ হতে নদীর প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আবার ভরাট হয়ে গেছে। নদী খননের সময় খননকৃত মাটি নদীর তীর ঘেঁষে রাখায় বৃষ্টিতে সেই মাটি পুনরায় নদীতে এসে ভরাট হয়ে গেছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। নদীটি পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরে ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় ২০২০/২১ অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় দৌলতপুর থেকে হরিরামপুরের বাহাদুরপুর পর্যন্ত ১৯ কি. মি. দৈর্ঘ্য ইছামতী নদী পুনঃখনন করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , ইছামতী নদীটি পদ্মা-যুমনা অববাহিকায় জেলার দৌলতপুর, ঘিওর ও শিবালয় উপজেলা হয়ে হরিরামপুরের বাহাদুরপুর এলাকায় এসে পদ্মায় মিলিত হয়েছে। বাহাদুরপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য উপজেলার ঝিটকা বাজার সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত পানি শূন্য হয়ে নাব্যতা সংকটে একেবারে নদীর তলা শুকিয়ে গেছে। এতে করে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীর বুক জুড়ে রয়েছে সবুজ হাজারো ভূমিহীন বোরো ধানের সমারোহ।

ঝিটকা এলাকার জুয়েল মিয়া বলেন, এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হয়তো নদীর প্রাণ হারিয়ে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। তাই নদীর অস্তিত্ব সংকট কাটিয়ে খনন ও সংস্কার করা জরুরী। নদীর তলদেশে পানি থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকেরাও সেচ পদ্ধতিতে পানি সংকটে পড়েন।

তৌহিদুর রহমান বলেন, এক সময়ের প্রমত্তা ইছামতী বর্তমানে যৌবন হারানো মরা খালে পরিণত হয়েছে। মূলত বর্ষা মৌসুমে এক-দুই মাস নদীতে পানি দেখা গেলেও বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই আবার নদীটি তার আপন সত্তা হারিয়ে শুকিয়ে যায়। ফলে নদী তীরবর্তী কৃষকেরা প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষ করছেন। 

তোফায়েল আহমেদ মোস্তফা বলেন, এই নদীতে নব্বই দশকের মাঝামাঝিতেও চৈত্র-বৈশাখ মাসে ছিল অথৈ পানি। ছিল দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন রকমের মাছ। এছাড়াও উপজেলার সর্ববৃহৎ ঝিটকার হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে নৌপথে মালামাল আনা নেওয়া হতো। নদীর নাব্যতা সংকটে এখন আর ব্যবসায়ীরা নৌপথে মালামাল আনা নেওয়া করতে পারেন না।

প্রকাশ সরকার বলেন,  এই নদীর সাথে সংযোগ একাধিক খাল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ায় বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করতে না পারায় কৃষি জমির উর্বরতাও হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি করেন কৃষকেরা। নদীতে আগের মতো পানি না থাকায় এ অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির মিঠা পানির মাছেরও অভাব দেখা দিয়েছে।

ফলে নদীকেন্দ্রিক জেলেরাও বেকার হয়ে ভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন বলে জানান জেলেরা। গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হতে না হতেই নদী শুকিয়ে যায়। এতে করে অনেক স্থানে দীর তলায় চিপচিপে পানিতে বোরোধান চাষ করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় নদী হয়ে পড়েছে পানিশূন্য হাহাকার।

কৃষির ওপর নাব্যতা সংকটের প্রভাব প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান খান  বলেন, নাব্যতা সংকট এখন সারাদেশেই ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গ্রামীণ জনপদ উন্নয়নে নদীর সাথে সংযোগ অনেক খালগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে যদি ধারাবাহিক নাব্যতা সংকট দেখা যায়, তাহলে কৃষির ওপর একটা প্রভাব পড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নাব্যতা সংকট রোধে কাজ করা প্রয়োজন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন  জানান, তিন বছর আগে আমরা ইছামতী নদী খনন করেছিলাম। এখন আবার নদীর প্রবেশ মুখ ভরাট হয়ে গেছে। এ জন্য দুই আগে নদীর প্রবেশ খননের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা আবার যতটুকু প্রয়োজন খননের কাজ শুরু করব।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com