বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মোহাম্মাদ রাশেদ খাঁনের মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এ মানববন্ধন হয়।
ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ এ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
গত ১ জুলাই দুপুরে মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
পরে শাহবাগ থানায় দায়ের করা আইসিটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল রাশেদ খান। কিন্তু সরকার তাদের এ যৌক্তিক আন্দোলনকে ব্যাহত করে দেয়। সরকারদলীয় সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা রাশেদ খানসহ অন্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডে নেয়। তারা রাশেদসহ গ্রেফতার হওয়া সবার দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রাফি বলেন, আমাদের বিভাগের বড় ভাই রাশেদ রিমান্ডে। তিনি যৌক্তিক আন্দোলনের নেতা ছিলেন। অথচ তাকে গ্রেফতার করে প্রশাসন রিমান্ডে নিয়েছে। আমরা এ অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাই। এ ছাড়া অন্য আন্দোলনকারীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচার জানাই।
উল্লেখ্য, চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন না করায় গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন।
হামলার প্রতিবাদে ২ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল করতে এসেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবার হামলার শিকার হন তারা। এ ছাড়া অনেকেই গ্রেফতার হন। সূত্র: যুগান্তর অনলাইন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস