শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

কে হচ্ছেন বিএনপির নারী এমপি?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া অন্যরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। সংরক্ষিত আসনে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নেয়ার পরই দলটির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা ওঠে সংরক্ষিত আসনে কে হচ্ছেন দলের নারী এমপি। সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসন কম পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী একজন নারীকে সংরক্ষিত এমপি হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারবে দলটি। এই একটি পদের বিপরীতে দলটির বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।

তারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান ও শর্মিলা রহমান সিঁথি। এছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সাবেক এমপি সৈয়দা আশরাফি পাপিয়া এবং সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনির নাম। তাদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

বিএনপির এই নাজুক পরিস্থিতিতে জিয়া পরিবারের অন্য কারও রাজনীতিতে অভিষেক হওয়া উচিত, সে অনুযায়ী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান অথবা প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হওয়া উচিত। আবার কেউ কেউ বলছেন, খালেদা জিয়ার পুত্রবধূরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হলে সেটা তাদের পারিবারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে।

অন্যদিকে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি যারা আগ্রহী তারা বলছেন, দলের এই করুণ পরিস্থিতিতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারাহানা অত্যন্ত যোগ্য। পারিবারিক ঐতিহ্য, ভয়েস-ভোকাল ও ব্যক্তিত্বের দিক থেকে তিনি এ পদে অন্যদের চেয়ে বেশ এগিয়ে।

দলের অপর একটি সূত্রের দাবি, যেহেতু সংরক্ষিত আসনে দলের পক্ষ থেকে মাত্র একজনকে মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ রয়েছে, সেক্ষেত্রে জিয়া পরিবারের কেউ যদি আগ্রহী না হন তাহলে নিপুন রায় চৌধুরী বা আফরোজা আব্বাস মনোনয়ন পেতে পারেন। কারণ হিসেবে ওই সূত্রের দাবি, দলের কঠোর সমালোচনায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সবসময় সরব থাকেন। খালেদা জিয়াকেও তিনি ‘ব্যর্থ নেত্রী’ বলতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। তার মুখ বন্ধ করতে নিপুন রায়কে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। তা না হলে আফরোজা আব্বাস। কারণ মির্জা আব্বাস দলের জন্য অনেক অর্থ খরচ করেন- এটা তার জন্য পুরস্কার হতে পারে।

সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে রুমিন ফারহানা ও নিপুন রায় চৌধুরী জানান, দল যদি উপযুক্ত মনে করে, তা হলে দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত তারা মানতে প্রস্তুত।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।

কোন বিবেচনায় সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দেয়া উচিত বলে মনে করছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনা তো হয়নি, আলোচনা হলে জানতে পারবেন।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নেননি। তার আসন শূন্য ঘোষণা হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে লাভ কী? আর যদি একান্তই দিতে হয় তা হলে জোবায়দা রহমান, শর্মিলী রহমান, আফরোজা আব্বাস, নিপুন রায় চৌধুরী- তারা কেন? দলকে পরিবারতন্ত্রের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।’

‘জোবায়দা রহমান, শর্মিলী রহমানরা যদি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পান তাহলে অন্যরা রাজনীতি করছেন কেন? আফরোজা আব্বাস, নিপুন রায় কতদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করেন? মনোনয়ন দিতে হলে দলের যারা সিনিয়র আছেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, রাজপথে লাড়াই-সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন তাদেরই দেয়া উচিত। বেগম সেলিমা রহমান, শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন- এদের বিবেচনায় নেয়া উচিত।’

দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, নির্বাচিতদের শপথ নিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়েও তিনি একক সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। সময়মতো সবই জানতে পারবেন।

বাংলা৭১নিউজ/এলএ.বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com