ঘন কালো কোঁকড়া চুলের আলাদা সৌন্দর্য আছে। সহজেই নজর কাড়ে কোঁকড়া চুলের মেয়েরা। ঢেউখেলানো কোঁকড়া চুলের মুগ্ধতা নিয়ে কম কাব্য হয়নি তবে কোঁকড়া চুল সামলাতে মাঝেমধ্যে খানিকটা ঝামেলায়ও পড়তে হয়। সেজন্য কোঁকড়া চুল রেশমি ও উজ্জ্বল রাখতে চাই বিশেষ কিছু যত্ন।
কোঁকড়া চুলে আর্দ্রতার অভাব হয় এবং সহজেই শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এ ধরনের চুলের যত্ন নেওয়া একটু কঠিন। আপনি যদি আপনার প্রাকৃতিক কার্লগুলোতে আরো বাউন্সি এবং চকচকে করতে চান, তাহলে জেনে নিতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় টিপস।
কোঁকড়া চুলের জন্য এমন পণ্য বাছাই করুন যা চুলে আর্দ্রতা যোগ করতে সহায়তা করে। এবং সেসব পণ্য ব্যবহার এড়িয়ে চলুন যা চুলকে শুষ্ক করে তোলে প্রাকৃতিক তেল যেমন, নারকেল তেল, সূর্যমুখী তেল, অ্যালোভেরার জেল, কেরাটিন এবং উদ্ভিদ নির্যাস যুক্ত শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার কোঁকড়া চুলের জন্য বিশেষ উপকারি।
একটি হালকা শ্যাম্পু যাতে মৃদু ক্লিনজিং এজেন্ট এবং কন্ডিশনিং এজেন্ট যুক্ত থাকে সেটি ব্যবহার করুন। যা আপনার চুলকে করবে মোলায়েম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল যদি আপনার চুল তৈলাক্ত বা বেশি বেশি ময়লা হয় তবে সপ্তাহে এক বা দুইবার স্ট্রং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
যদি খুব কোঁকড়ানো চুল হয়ে থাকে তবে প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট হতে পারে আপনার জন্য উপকারি। সেক্ষেত্রে আপনাকে যেতে হতে পারে জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীতে। শ্যাম্পু করার পরে নয়, আগেও ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। এরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করে আবার কন্ডিশনার চুলে লাগান। কোঁকড়া চুল খুব দ্রুত আর্দ্রতা হারায় শ্যাম্পু করার আগে কন্ডিশনার ব্যবহার চুলের স্ট্র্যান্ড রক্ষা করতে সাহায্য করে যাতে করে শ্যাম্পু চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট না করে ফেলে।
গরম পানি চুল থেকে আর্দ্রতা ছিনিয়ে নিয়ে চুলকে করে তোলে রুক্ষ। ঠাণ্ডা পানি চুলের কিউটিকল সিল করতেও সাহায্য করে। গরম পানি এড়িয়ে চললে চুল থাকবে আর্দ্র ও মজবুত।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন কোঁকড়া চুলের অধিকারিদের জন্য প্রতিদিন শ্যাম্পু করা একদমই প্রযোজ্য নয়। এতে করে চুলের অতি প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। চুলের সুস্থতায় একদিন পর পর শ্যাম্পু করার চেষ্টা করুন।
কোঁকড়া চুলের যত্নে বেছে নিন সঠিক ব্রাশ বা চিরুনি । কোঁকড়া চুল প্রায়ই শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়। তাই আঁচড়ানো বা ব্রাশ করার সময় সহজেই চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে চুল ভাঙা ও ঝরে পড়া এড়াতে গোসলের সময় চুল আঁচড়ানোর চেষ্টা করুন। এবং ব্যবহার করুন প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি। হেয়ারব্রাশ কেনার ক্ষেত্রে, প্লাস্টিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ব্রিসলসহ উচ্চমানের ব্রাশ নর্বাচন করুন।
বেশিরভাগ স্টাইলিস্টরা সুপারিশ করেন, কোঁকড়া চুল বাতাসে শুকানোর জন্য। কারণ ব্লোড্রায়ার ব্যবহার করলে চুল হতে পারে রুক্ষ। ব্লো-ড্রায়ার ব্যবহার করলে, চুলের গোড়া থেকে অন্তত ছয় ইঞ্জি দূর থেকে এটির ব্যবহার করুন। এতে চুলের ক্ষতির পরিমান কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
কোঁকড়া চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এটির শুষ্কতা এবং আর্দ্রতা কমে যাওয়া। চুলে সুন্দর রাখতে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করা এড়িয়ে যেতে হবে এবং চুলের পণ্য কেনার সময় মাথায় রাখতে হবে যেনো তা তেল, বাটার, প্রোটিন এবং প্রাকৃতিক উদ্ভিদের নির্যাস সমৃদ্ধ হয়। সঠিক যত্নের মাধ্যমে কোঁকড়া চুল হতে পারে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চকচকে ও আকর্ষণীয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ