যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৫১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন নির্বাচনে। তাদের মধ্যে ২৮ জনই এসএসসি পাস করেননি। উচ্চ শিক্ষিত আছেন মাত্র ৩ জন। ১২ প্রার্থীর নামে আছে ৪৬টি মামলা।
অন্যদিকে, ১৩ নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। বিএ পাশ একজন প্রার্থী। তাদের নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৮ জন। সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ১৩ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে সর্বোচ্চ ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন নম্বর ওয়ার্ডে। আট নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সাতজন। দু’জন করে আছেন দু’ ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। সাত নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন চারজন এবং এক, চার, ছয় ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে আছেন তিনজন করে প্রার্থী।
হলফনামায় দেয়া তথ্যমতে, ৩৮ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। একজন শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেননি। একজন পঞ্চম শ্রেণি, ১১ জন অষ্টম শ্রেণি, ৬ জন এসএসসি, ৭ জন এইচএসসি, ১ জন বিএ এবং ৩ জন আছেন এমএ পাস। ১৪ প্রার্থীর বার্ষিক আয় তিন লাখ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। দশজনের দু’ লাখ থেকে দু’ লাখ ৬০ হাজার ও পাঁচজন প্রার্থীর বার্ষিক আয় দেড় লাখ ও চার জনের দু’ লাখ টাকার নীচে। একজনের ৬৫ হাজার ও একজনের মাত্র ৫০ হাজার টাকা বার্ষিক আয়। সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মানিক লাল সাহা তার বার্ষিক আয় হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তবে তার নগদ ২০ হাজার ও ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ মাত্র ২০ হাজার টাকা।
তার সম্পদের হিসাব বিবরণের ঘরেও কিছু লেখেননি। প্রার্থীদের পেশা হিসেবে কৃষি উল্লেখ করেছেন ১২ জন ও ব্যবসায়ী ২০ জন। সাংবাদিক, চালক, দলিল লেখক, বীমায় চাকরি ও কলেজে শিক্ষকতা করা প্রার্থীও রয়েছেন ।
হলফনামায় দেয়া তথ্যমতে, ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সোহেল হাসান, দু’ নম্বর ওয়ার্ডের মশিয়ার রহমানের নামে ৪ টি করে মামলা আছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুব উদ্দিন বিশ্বাসের নামে ১২টি মামলা ও আফজাল হোসেন বাবুর নামে ৮ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রার্থী আছেন ১৩ জন। দু’টি ওয়ার্ডে চারজন করে ও একটি ওয়ার্ডে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন আছেন অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, দ’জন অষ্টম শ্রেণি, দ’জন এসএসসি, তিনজন এইচএসসি এবং একজন বিএ পাস। তারা সকলেই পেশায় গৃহিনী। তাদের বার্ষিক আয় এক থেকে দু’ লাখের মধ্যে। তবে তিনজন প্রার্থী তাদের বার্ষিক আয় হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
কেশবপুর উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট আবুবকর সিদ্দিকী জানান, জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিলে শিক্ষিত লোকেরা এগিয়ে আসতেন। ইতিপূর্বে এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হলে বিষয়টি বাস্তবায়ন সম্ভব হতো।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে