দেশের আটটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছপদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কৃষিগুচ্ছের অধীন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে, চলবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি/সমমান পর্যায়ের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকার কথা রয়েছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।
সরেজমিনে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দেখা যায়, যানযটের ভোগান্তি এড়াতে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কেন্দ্রে এসে অপেক্ষা করছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে ঘড়ি, ব্যাগ, মোবাইলসহ যেকোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ। মূল ফটক দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের সময়ই এসব নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। আর নীলক্ষেত থেকে আজিমপুর মোড় পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মূল সড়কে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের বাইরে কথা হয় ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী আশিক মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি অন্য একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। তবে আমার ইচ্ছা বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে গবেষণা করা৷ তাই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। প্রস্তুতি ভালো নিয়েছি, আশা করছি ভাল পরীক্ষা দিতে পারবো।
এবার রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সাত হাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২৬ হাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ১২ হাজার ২৫ জন ও ইডেন মহিলা কলেজে তিন হাজার ৫৮১ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ১২ হাজার ৫০০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) সাত হাজার জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) চার হাজার জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এবং পশু বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) তিন হাজার ১৫৩ জন এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) এক হাজার ৯০০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবার তিন হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৪, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন আছে। সে হিসাবে কৃষি গুচ্ছের একটি আসনের জন্য লড়বেন ২৩ ভর্তিচ্ছু।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ