খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার এমন খামখেয়ালি কর্মকাণ্ডে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষক ও স্থানীয় জনসাধারণ হতাশা প্রকাশ করেন।
উপজেলার জগতলা গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন ও আহাম্মদ আলির কাছে ধান-চাল-গম সংগ্রহ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা তো কৃষক না, বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীরা প্রকৃত কৃষক। প্রতিবছর শুনতে পাই খাদ্যগুদামে ধান-গম সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। যদি আমরা সেখানে আমাদের ফসল দিতে যাই তাহলে কোনো দিনও দেওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের ফসল না নিয়ে ট্রাকবোঝাই বড় বড় ব্যবসায়ীর ধান গম নেওয়া হবে।
তারা আরো বলেন, বাজারে গমের দাম কম, খাদ্যগুদামের দামটা একটু বেশি। যদি প্রকৃত কৃষক তাদের জমিতে ফলানো গম খাদ্যগুদামে দিতে পারত তাহলে কৃষকরা অনেক লাভবান হতো।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন এ কাইয়ুম বলেন, প্রকৃত কার্ডধারী কৃষকদের নিকট থেকে গম ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম রবিবার শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ী, কৃষক, সাংবাদিক সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রথমদিন কোনো কৃষকের নিকট থেকে গম নিয়ে উদ্বোধন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কৃষকের নাম বলতে পারেননি। তিনি এলোমেলো কথা বলে বার বার চা খাওয়ার দাওয়াত দিতে থাকেন প্রতিবেদককে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মাহবুবা পারভীন বলেন, রবিবার ইউএনও স্যারের উপস্থিতিতে শুধুমাত্র একজন কৃষকের গম সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষি কার্ডধারী প্রকৃত ধান গম আবাদকারীর লিস্ট আমাদের দেওয়া হলে সে অনুযায়ী মূল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বলেন, কৃষি কার্ডধারী প্রকৃত কৃষকরা তাদের জমিতে উৎপাদিত ধান-গম খাদ্যগুদামে সরবরাহ করতে পারবেন। সরকার নির্ধারিত একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ টন ধান/গম গুদামে সরবরাহ করতে পারবেন। যদি কোনো কৃষক এই সুবিধাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করলে সমস্যার সমাধান করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এস.এ