কৃষকদের রক্ত চুষে আওয়ামী লীগের লোকেরা চাঁদাবাজি করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
সোমবার (০১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, আমি এবার ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম। আমার বাড়ি দক্ষিণাঞ্চলে। সেখানে কৃষকরা চরের জমি ইজারা নিয়ে তরমুজ চাষ করছে। সেই জমি নিয়ে চাষ করতে হলে যুবলীগকে একদফা চাঁদা দিতে হয়। আওয়ামী লীগকে আরেক দফা দিতে হয়। যখন তরমুজটা বাজারজাত করবে তখন আওয়ামী লীগের কোনও নেতার স্টিমার বা লঞ্চে তরমুজ পরিবহন করতে হয়। লঞ্চ থেকে সেগুলো বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুবলীগ নেতার টমটম, হলার, লেগুনাতে করে নিয়ে যেতে হবে। দফায় দফায় এভাবে আজ কৃষকদের রক্ত চুষে আওয়ামী লীগের লোকেরা চাঁদাবাজি করছে।
তিনি বলেন, রানা প্লাজার ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। কিন্তু রানা প্লাজায় যারা ভুক্তভোগী তারা এখনো চিকিৎসা পায় না, খেতে পায় না। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য অনেকে সহযোগিতা করেছিল। সেই টাকা কোন খাতে কীভাবে খরচ হয়েছে সেই হিসাব আমরা চাই। রানা প্লাজার চিকিৎসার নাম বিক্রি করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ আজ বিখ্যাত হয়েছে। এনাম এমপি থেকে মন্ত্রী হয়েছেন।
নুর বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে আজ আওয়ামী লীগও নিরাপদ নয়। গাজীপুরে এক প্রার্থী বলেছেন তিনি গুম হয়ে যেতে পারেন, হাতে হাতকড়া পরানো হতে পারে। অথচ তিনিই নৌকার মনোনয়ন নিয়ে মেয়র হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কোনও স্তরে শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব নেই, শ্রমিকের অংশীদারিত্ব নেই। কিন্তু আজ শুধু তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজনীতির লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, বর্তমান সরকার লগ্নিপুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের দালাল। এই ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতায় রেখে শ্রমিকদের অধিকার আদায় হবে না। এদের তিনটি গুণ। মিথ্যা মামলা, লুটপাট, মানুষ খুন ও গুম করা। এরা শ্রমিকদের কোনও অধিকার দেবে না।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মন্টু, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ দেওয়ান, মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ