শীতের এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন দেশের উত্তরের মানুষ। হিমালয়ের খুব কাছে হওয়ায় শীতের তীব্রতা ওই জনপদে বরাবরের মতোই বেশি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এরই মধ্যে তীব্র শীতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন। খুব সহসাই শীতের প্রকোপ কমার কোনো আভাস দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। উল্টো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে মেঘ বেশি জমেছে। ফলে উত্তরাঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কুয়াশা কেটে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলেছে। ফলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, গত এক মাস ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নওগাঁয় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন শীতের হিমেল বাতাস সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে। রোদ বেশি পাওয়া যাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলা৭১নিউজ/এবি