টানা তিনদিন সরকারি ছুটি থাকায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত লোকে লোকারণ্য হয়েছে। আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে কাছে উড়ে গেছে করোনাভীতি। কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত আড়াই মাস পর্যটক কম ছিল কুয়াকাটা সৈকতে। করোনার সংক্রমণ কমে আসায় প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। টানা তিনদিন ছুটি থাকায় পর্যটকের পদভারে এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে সাগর কন্যা কুয়াকাটা।
কেউ বা ঘুরে দেখছেন নৈসর্গিক দৃশ্য। কুয়াকাটার আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের দৃশ্য, কুয়াকাটা ইকোপার্ক, রাখাইন মার্কেট, ছায়াঘেরা নারিকেল কুঞ্জ, শুঁটকি পল্লী, বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি, সবুজ বন, সৎ সঙ্গের মন্দির, ঝাউ বাগান, গঙ্গামতির লেকসহ সর্বত্র পর্যটকের ভিড় রয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ জানান, কুয়াকাটায় এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক অবস্থান করছেন।
কুয়াকাটা টুরিস্ট জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আ. খালেক জানান, পর্যটকের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, প্রতিনিয়তই কুয়াকাটা পর্যটক বাড়ছে। সমুদ্র সৈকত থেকে টুরিস্ট পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত যানবাহন ও পর্যটকের ভিড়ে রাস্তায় চলা ফেরার কোনো পরিবেশ নেই। তাই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানাই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ