বাংলা৭১নিউজ,সংসদ প্রতিবেদক: কুড়িগ্রাম এলাকায় ভারতের সীমান্তের ওপর থেকে আসা হাতির তান্ডব বন্ধ করতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ
সদস্য রুহুল আমিন।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এই দাবি জানান তিনি।
জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য বলেন, কুড়িগ্রাম রৌমারি উপজেলার আলগারচর,ঠেওয়ার চর, ঝাউমারি, বড়ইবাড়ি গ্রামের জনগন ভারতীয় হাতির তান্ডবে আতঙ্কে
আছে। ছেলে-মেয়েরা আতঙ্কে আছে পরীক্ষা দিতে পারছে না। বৃদ্ধ লোক বাড়ি ছেড়ে দূরে সরে আছে।তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। আমরা যারা সংসদ সদস্য
আমাদেরও জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ধ্যায় ৭০-৮০ টি হাতি আমার নির্বাচনী এলাকায় ঢুকে পরে।এই হাতিগুলো ঢুকার সময় ভারতের বিএসএফ সীমান্তের গেট খুলে দেয়। হাতির দল ভুট্টাসহ খেতের ফসল নষ্ট করে এবং ভেঙে তছনছ করে দেয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আমরা সেখানে গিয়ে হাতির তান্ডব দেখেছি। ওখানে কৃষকরা ভুট্টা ক্ষেতে বিষ দিয়েছিল বলে হাতি ভুট্টা খেতে না পেরে কৃষকদের ১২টি বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় এবং গ্রামে তান্ডব চালায়। প্রায়ই তারা এভাবে গ্রামে তান্ডব চালিয়ে ঘরবাড়ি ফসল নষ্ট করছে।তাই যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর জনগণ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমি জামালপুর ব্যাটেলিয়ান বিজিপি’র সিওকে জানিয়েছি। তিনিও বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছেন।তাই সরকারকে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
তিস্তা ব্যারেজ
আবুল কালাম আজাদ পয়েন্ট অর্ডারে সংসদে বলেন, তিস্তা ব্যারেজের পানি আমরা এখনও পাইনি। ভারতের দুই জন প্রধান মন্ত্রী পরবির্তন হয়েছে অথচ তিস্তা ব্যারেজের পানি চুক্তি
বাস্তবায়ন হয়ান। মমতা আমাদেও প্রতি মমতা না দেখিয়ে তিনি বাধ সেজেছেন।
মশা
জসদের সংসদস্য পয়েন্ট অব অর্ডাওে বলেন, একজন সংসদ সদস্য বড় প্রানী হাতী নিয়ে সংসদে জানিয়েছেন। হাতির নাগরিকত্ব নেই। আমি বড় প্রানী নিয়ে বলছিনা ছোট প্রানী নিয়ে
বলছি। মশা। মশার কামড়ে গত রাতে ঘুমাতে পারিনি। এসিআই মশার ওষুধ দিয়েছি। মশা কিছু সময় থেমেে থেকে আবার জ্যান্ত হয়ে কামড়াতে শুরু করে। এসি আইয়ের মশা মারার ক্ষমতা যদি না থাকে তা হলে তা বাজারজাত করা হচ্ছে কেন। জনগনকে কেন প্রতারনা করা হচ্ছে। এর একটি প্রতিকার হওযা উচিৎ।
বাংলা৭১নিউজ/এএইচ