রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাদারীপুরে ছাত্রদল-যুবদলের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ লাদাখের অংশ নিয়ে ২ নতুন কাউন্টি ঘোষণা চীনের, প্রতিবাদেই সীমাবদ্ধ ভারত জুবায়েরপন্থিদের বিক্ষোভের ডাক, ২৫ জানুয়ারি সম্মেলনের ঘোষণা হাসপাতালে প্রবীর মিত্র, অবস্থা গুরুতর হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া পায়নি ঢাকা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ৮টি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি মস্কোর গণঅধিকারের ফারুক হাসানের ওপর হামলা, অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বনানীতে চিরনিদ্রা গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা মাদারীপুরে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা তৈরি পোশাক রপ্তানির ছয় মাসে প্রবৃদ্ধি ১৩.২৮ শতাংশ সাদপন্থিদের ইজতেমা করার অধিকার নেই : মামুনুল হক কাশ্মিরে ভারতীয় তিন সেনা নিহত চট্টগ্রামে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু পুনরায় চালুর অপেক্ষায় সেতাবগঞ্জ চিনিকল, খুশি স্থানীয়রা ‘পুলিশ যেন জনগণের আস্থাভাজন হতে পারে, সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’ তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল দেশব্যাপী অভিযানে ৬০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ বিয়ে করেছেন তাহসান টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে দম্পতি নিহত আগামী নির্বাচন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন : জোনায়েদ সাকি

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৬০ হাজার মানুষ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। শনিবার দুপুরে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকায় জেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫শ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা ও শাকসবজির ক্ষেত। এছাড়া নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।

সরজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। করোনার কারণে এমনিতেই কাজকর্ম নেই, তার উপর বন্যার আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বানভাসিরা।

গ্রামের আবুল হোসেন ও মোজাম্মেল হক জানান, চরের আবাদ সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ির চারপাশে যারা সবজি লাগিয়েছেন সেগুলো এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও নিচু ল্যাট্রিন ডুবে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে নারী ও শিশুরা।

এদিকে নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই, বুড়াবুড়ি ও বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ। ভাঙছে রৌমারীর কর্ত্তিমারী, চিলমারীর নয়ারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ও সারডোব এলাকা। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে গেছে।

ব্রহ্মপুত্রের চরমশাল চরের বাসিন্দা মুসা মিয়া ও ভগবতির চরের জাহাঙ্গীর আলম জানান, চরের অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই উঁচু ভিটায় থাকলেও নিচু ভিটার বাসিন্দারা নৌকা ও চৌকির উপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তারা।

এসব বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভাঙন কবলিতদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও শুক্রবার ভাঙন কবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com