রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৯ জনের মৃত্যু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে মামলা ৮৩৮, জরিমানা ৩৮ লাখ আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার নেই: ইসি সংস্কার প্রধান ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার ময়মনসিংহে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা ‘উৎসব অন্ধকার থেকে আলোকের উদ্ভাসন’ ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রামে চীনা নৌ জাহাজ আপনারা না পারলে দায়িত্ব আমাদের দেন: সারজিস আলম ভারী বৃষ্টির পর মক্কায় আকস্মিক বন্যা বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ তুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ নেত্রকোনায় বন্যায় সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে পড়েছে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে, ৬ বছর পর ফিরে আসায় প্রথম স্বামীকে খুন! সাবের হোসেন চৌধুরীকে বিদেশিদের চাপে মুক্তি দিয়েছে সরকার : নুর প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা জড়িতদের বিচার দাবিতে তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করার বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৯

কুড়িগ্রামে আরো ৫০গ্রাম প্লাবিত, খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দী প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বুধবার বিকেলে বন্যার পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন চিলমারী উপজেলার শাখাহাতি গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে লাইলী বেগম (২৮) ও সদর উপজেলার সদর উপজেলার খামার হলোখানা গ্রামের পনির উদ্দিনের ছেলে হামিদুল হক (১৭)। স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে জেলায় ৮৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবল স্রোতে চিলমারী উপজেলার কাঁচকোলে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ৫০ মিটার বাঁধ ও রৌমারী উপজেলার যাদুর চরে কত্তিমারী বাজার রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ৪২ ইউনিয়নের ৫শ গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী জীবন যাপন করছে।
অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে উচুঁ জায়গায় আশ্রয় নিলেও এসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ১শ ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জেলায় ১ হাজার হেক্টর জমির আউশ, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

সরকারীভাবে স্বপ্ল পরিসরে ত্রান তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেসরকারী কোন ত্রান তৎপরতা চোখে পড়েনি।

সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চর ভগবতিরপুরের আমজাদ আলী জানান ৬ দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় বউ-বাচ্চা নিয়ে নৌকায় জীবন যাপন করছি। বাড়ি-ঘর, গরু-ছাগল ছেড়ে কোথাও যাব সে জায়গাও নাই। এমন অবস্থায় ঘরে খাবারও শেষ হয়ে গেছে।

চেয়ারম্যান মেম্বাররা ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে তাও সবাই পাচ্ছে না।
একই চরের আমেনা বেগম জানান, ঘরের ভিতর চৌকি ভাসিয়ে কোন রকমে একবেলা রান্না বাড়া করে ছেলে-মেয়েদের খাওয়াচ্ছি। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে আমাদের।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন মঞ্জু জানান, আমার উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। সরকারীভাবে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি যা বিতরন অব্যাহত আছে।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে বন্যার পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে লাইলী বেগম মৃগী রোগী। চরাঞ্চলে ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক তলিয়ে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী উচুঁ জায়গায় কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

জেলার বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে ৮৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে বন্যা কবলিত ৭ উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে এপর্যন্ত ৩শ মেট্রিক টন চাল, ৮ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। আরো নতুন করে ১শ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা বিতরনের কার্যক্রম চলছে।

স্থানী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com