দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের চাল কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। আর দাম বাড়ার জন্য মিলারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন ভোক্তা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে মিলারদের দাবি, বেশি দামে ধান কেনায় বাড়ছে চালের দাম।
গত ৭ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরু জাতের সকল চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। এতে অস্থির হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার চালের বাজার। দেশের সর্ববৃহৎ মোকামে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে সারাদেশে। পাইকারিতে বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম । হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ভোক্তারা।
চাল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে চালের দাম বৃদ্ধি করেছেন মিলাররা। এতে বেচাকেনা কমে গেছে।
মিলারদের দাবি, ধানের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়ার খরচ বেশি হওয়ায় বেড়েছে চালের দাম।
কুষ্টিয়া ফ্রেশ এগ্রো ফুডের মিল মালিক ওমর ফারুক বলেন, আমরা যদি ধান বেশি দামে কিনি এতে চালের দাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। মিল মালিকরা যদি কম দামে চাল কিনতে পারে তাহলে চাল কম দামে বিক্রি করতে পারবে।
যৌক্তিক কারণ ছাড়া চালের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কুষ্টিয়া জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকটকারীকে পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা।
জেলা খাদ্য বিভাগের তথ্য মতে, কুষ্টিয়ায় ৩৫টি অটো , ৪৫টি সেমি অটো ও এক হাজার একশ’টি চালের হাসকিং মিল রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সর