মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’ বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে সরকার এবার ভারতে দুই শিশুর শরীরে মিললো এইচএমপিভি চারদিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭৬৫ কোটি টাকা বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার করতে হবে বেপজাকে: প্রধান উপদেষ্টা মেক্সিকোতে পানশালায় বন্দুক হামলা, নিহত ৫ সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর নামে দুর্নীতির ২ মামলা খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোক ঘরে ফিরেই জ্বলে উঠেছে সিলেট বৃহস্পতিবার থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি কেন? পলককে বিচারকের প্রশ্ন কোন ডিবি সাধারণ পোশাক পরে আসামি গ্রেপ্তার করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৮২তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস জিতলেন যারা গাজীপুরে আজও সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

কুশিয়ারা নদীর সাড়ে ৩ মণ ওজনের বাঘাইড়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(সিলেট)প্রতিনিধি: ১৫০ কেজি অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন মণ ওজনের বাঘাইড় মাছটি সিলেটের লালবাজারে এনেছেন একদল জেলে। বিক্রির জন্যে ‘আগে আসলে আগে পাবেন, পরে আসলে পস্তাবেন’- এভাবেই নগরীতে মাইকিং করা হয়।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লালবাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেখতে বাঘের মতো ডোরা কাটা মাছটি দেখানোর জন্য রাখা হয়েছে। সিলেটের স্থানীয় ভাষায় ‘বাঘ মাছ’ নামে পরিচিত সুস্বাদু এই মাছটি দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। কেউ আবার ছবিও তুলছেন।

আনোয়ার মিয়া নামে এক মাছ ব্যবসায়ী খাতায় ক্রেতাদের নাম লিখছেন। কে, কতো কেজি কিনবেন তা লিখছেন। আনোয়ার জানান, মাছটির দাম চেয়েছেন চার লাখ টাকা। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় কেটে বিক্রির জন্যে ক্রেতাদের নাম লেখা হচ্ছে।

গতরাতে মাছটি ফ্রিজে রাখার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাছটি কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি সাড়ে তিন হাজার এবং লেজ ও মাথার অংশ আড়াই হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

জকিগঞ্জের একদল জেলে কুশিয়ারা নদী থেকে মাছটি ধরেছেন। জেলেরা সিলেটের কাজির বাজার মাছের আড়তে নিয়ে আসলে পাঁচজন মিলে মাছটি নিলামে কিনেন।

ষাটোর্ধ হাজি মানিক মিয়া জানান, মাঝেমধ্যে ‘বাঘ মাছ’ বাজারে ওঠে। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে এক সময় এই মাছ প্রচুর ধরা পড়তো। সেসব মাছ আকারে অনেক বড় হতো। কিন্তু, গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এই মাছ দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে জেলেরা ধরে বাজারে তোলেন কিন্তু সেগুলো আকারে ছোট থাকে।

সিলেটের মতো দেশের অন্য এলাকায় এই মাছ তেমনটা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঘাইড় মাছের একটি কাটা থাকে। কাটা থেকে মাছ আলাদা করলে লালচে হলুদ রং বের হয়। দেখতে খাসির মাংসের মতো মনে হবে। তার মতে, ‘বাঘ মাছ’ ধরার জন্য আলাদা জাল আছে। সচরাচর জাল দিয়ে এই মাছ ধরা যায় না।

তবে এ বছর লালবাজারসহ সিলেটের অন্যান্য বাজারে বেশ কয়েকটি বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছ উঠেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশে দুই প্রজাতির বাঘাইড় মাছ আছে। এর একটি হলদেটে বাঘাইড় অপরটি সবুজাভ বাঘাইড়। দুই প্রজাতির মাছকেই আইইউসিএন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘মহা বিপন্ন’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com